ভিডিও শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে খেলছে রংপুরের ফারজানা ও মাওয়া

মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে খেলছে রংপুরের ফারজানা ও মাওয়া, ছবি সংগৃহীত

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ। আজ রোববার থেকে শুরু হবে মালয়েশিয়ায় এই টুর্নামেন্ট। এশিয়া কাপে অংশ নিতে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন নারী ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্টের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘোষিত ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে স্থান করে নিয়েছেন রংপুরের ফারজানা ইয়াসমিন মেধা ও জান্নাতুল মাওয়া নামে দুইজন নারী ক্রিকেটার। এরমধ্যে অলরাউন্ডার ফারজানা ইয়াসমীন মেধা।

তার বাড়ি রংপুর নগরীর গুড়াতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন। ফারজানা ইয়াসমিনের বাবা দুলাল হোসেন, মাতা মনোয়ারা বেগম। তিনি বিকেএসপি ঢাকায় দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তিনি রংপুরসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপে ভালো খেলার মধ্যদিয়ে আগামীতে জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।

ফারজানা ইয়াসমিন মেধা ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন থেকেই পাড়ায় সবার সাথেই ক্রিকেট খেলতেন এবং নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখতেন। ক্রিকেটের প্রতি তার এমন অসম্ভব টান দেখে তাকে রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি করে দেন তার বাবা। ক্রিকেট গার্ডেনে কোচ মুন্না ও সাকিলের কাছে অনুশীলন করেন মেধা।

পরবর্তিতে বিকেএসপিতে ভর্তির জন্য ফরম সংগ্রহ করে মেধা টিকে যান। ঢাকায় বিকেএসপিতে অস্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন ফারজানা ইয়াসমিন মেধা। তিনি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। এর আগে দেশের ভেতর রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে খেলেছেন এবং রাজশাহী বিভাগে ম্যান অব দ্য ম্যাচসহ বিভিন্ন পুরস্কার জিতেছেন।

আরও পড়ুন

ফারজানা ইয়াসমীন মেধার মা মনোয়ারা বেগম বলেন, খুবই কষ্টের সংসার। তারপরও মেধার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পুরণে চেষ্টা করেছি। সবসময় উৎসাহ দিয়ে আসছি। তারও প্রবল ইচ্ছে। যার কারণে মেয়ের মতো আমারও স্বপ্ন মেধা যেন জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলতে পারে এবং দেশের মুখ উজ্জল করতে পারে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন।

ক্রিকেট কোচ মুন্না বলেন, ছোট থেকেই মেধা তার কাছে কোচিং করেছেন। ছোট বেলা থেকেই তার খেলার প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। তিনি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তার ভবিষৎ ভালো। উল্লেখ্য ফারজানা ইয়াসমিন মেধার বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। বর্তমানে স্ট্রোক করে বিছানায় শয্যাশায়ী। মেধারা এক ভাই এক বোন। মেধাই ছোট, ভাই বড়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফ্যাসিস্ট সরকার ১৭ বছর খুন গুমের রাজত্ব কায়েম করেছিল : কাজী রফিকুল ইসলাম

দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু : নারকেলের নাড়ু না থাকলে যেন জমেই না পূজার ভোজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এবার মালিকরাই বন্ধ করে দিলেন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস

রংপুরে নীল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের কদর দেশ ও বিদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে

বিশ্বমানের চক্ষু চিকিৎসায় ধানমন্ডিতে এরিস্টো আই হসপিটাল উদ্বোধন

গ্যাস সংকটের সমাধান