চাহিদার বাড়ার সাথে দামও বেড়েছে
দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু : নারকেলের নাড়ু না থাকলে যেন জমেই না পূজার ভোজ

স্টাফ রিপোর্টার : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। বাঙালির উৎসব মানেই খানাপিনার আয়োজন। আর পূজার খাবার মানেই সুস্বাদু-মুখরোচক সব আয়োজন। থাকে নানা ধরনের মিষ্টান্ন।
দুর্গাপূজায় বানানো হয় নানা ধরনের নাড়ু, মোয়া, পায়েশ, সন্দেশ। তার মধ্যে নারকেলের নাড়ু, নারকেল গুড়ের সন্দেশ না থাকলে যেন জমে না পূজার ভোজ। এছাড়াও মন্দিরেও পূজার আচারে প্রচুর নারকেলের প্রয়োজন হয়। এ্জন্য অন্যান্য সময়ের চেয়ে এসময় এর চাহিদা বারে কয়েক গুণ। এ সুযোগে দামও বৃদ্ধি পায় চক্রবৃদ্ধিহারে।
দুর্গাপূজায় হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে নাড়ু-মোয়া বানানোর প্রচলন দীর্ঘদিনের। তাই তো নাড়ু বানানোর অন্যতম উপকরণ নারকেলের চাহিদা বেড়ে যায়। উৎসবে অতিথি আপ্যায়নের খাদ্য তালিকায় অন্যতম প্রধান মুখরোচক খাবার হচ্ছে নারিকেলের নাড়ু, মোয়া এছাড়া নারিকেল দিয়ে পায়েশসহ তৈরি করা হয় নানা স্বাদের খাবার। কাজেই পূজা উৎসবে নারিকেলের জুড়ি নেই।
তাই পূজার কয়েকদিন আগে থেকেই কদর বাড়ছে নারিকেলের। ক্রেতারা ছুটছেন দোকানে, দরদাম করে কিনছেন নারিকেল। নারিকেলের পাশাপাশি কেনা বেচায় কদর বেড়েছে তিল, চিড়া ও গুড়ের দোকানেও। গতকাল শুক্রবার বগুড়ার নারকেলের দোকান গুলোতে সাধারণ ক্রেতাদের ভীড় বেশি। পুরুষ ক্রেতার পাশাপাশি আছেন নারী ক্রেতাও।
এসব দোকানে ছোট আকারের নারিকেল প্রতি জোড়া ২০০ টাকা, মাঝারি সাইজের প্রতি জোড়া ২৫০ টাকা এবং বড় সাইজের নারিকেল প্রতি জোড়া ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। এছাড়াও পূজা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে বসেছে মৌসুমি নারিকেলের দোকান।
আরও পড়ুনশহরের দক্ষিণ চেলোপাড়ার গৃহবধূ নমিতা রায় জানান, নারিকেল ছাড়া পূজার কথা ভাবাই যায় না। তাদের পরিবার বড়। পূজায় সব আত্মীয়স্বজন বাড়িতে বেড়াতে আসেন । তাদের আপ্যায়নে মিষ্টিজাতীয় সব খাবার করতে হয়। এর মধ্যে নারকেলের নাড়ু অন্যতম। আট জোড়া নারকেল । কিনলাম। গত বছরের চেয়ে এবছরে দাম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে হয়েছে। গত বছরে নারিকেল ১ জোড়ার দাম ছিল ১২০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা। এ বছর সেই নারিকেলের দাম ১৬০ থেকে ২৮০ টাকা।
বগুড়া শহরের স্টেশন রোডের ব্যবসায়ী রতন বলেন, সারা বছর কমবেশি বেচা কেনা হলেও পূজা উপলক্ষে বিক্রি হয় বেশি। দাম বাড়ার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোকাম থেকে বাড়তি দামে নারিকেল কিনতে হয়েছে। সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজা পার্বনে মিষ্টি ও মিষ্টান্ন খাবার বেশি তৈরি হয়। সে কারণে নারিকেল ও গুড় হচ্ছে পূজার অন্যতম উপকরণ।
এছাড়া অতিথি অপ্যায়নেও নারিকেল ও তিলের তৈরি নাড়ুর কদর অনেক বেশি হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে শহরের চেলোপাড়া, স্টেশনরোড, নামাজগড়ের নারকেল ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য ট্রাক ভরে যশোর, ভোলা, নোয়াখালি, বরিশাল নারকেল এনেছেন । আশা করছেন আশানুরূপ বিক্রি করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন