থাকছে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বগুড়ার শাজাহানপুরের মন্ডপে মন্ডপে চলছে রং তুলির কাজ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয়া দুর্গোৎসব। শাজাহানপুরের ৪৬টি মন্ডপে ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুহুর্তে শিল্পীর রং-তুলির আচড়ে বর্ণিল হয়ে উঠছে প্রতিমাগুলো। সুশৃঙ্খল ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদ্যাপনের প্রত্যাশা করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
অপরদিকে এবারও বগুড়ার শাজাহানপুরে গন্ডগ্রামে অবস্থিত শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম কমিটি দুর্গাপূজার পাশাপাশি কুমারী পূজার আয়োজন করেছে। গত ২০২২ সাল থেকে এই আশ্রমে কুমারী পূজা হয়ে আসছে। শ্রীরামকৃষ্ণের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে আশ্রম কমিটির সভাপতি ডা. বিপ্লব কুমার বর্মণ জানান, ‘সব স্ত্রীলোক ভগবতীর এক-একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ।’ তাই প্রতিবছর আশ্রম প্রাঙ্গণে দুর্গাপূজার অংশ হিসেবে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ শাজাহানপুর উপজেলা সভাপতি তপু কুমার সরকার তাপস জানান, এ বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও বগুড়া পৌরসভার বর্ধিতাংশে ৪৬টি মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দকে সার্বিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি মন্ডপে মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে।
আরও পড়ুনশাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি গ্রাম পুলিশ, আনসার সদস্য ও থানা পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারিও থাকবে। শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাইফুর রহমান জানান, দুর্গোৎসব উদ্যাপনে যাতে কোন রকম সমস্যা না হয় সে লক্ষ্যে মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কোন সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করতে বিশেষ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রতিটি ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তায় দায়িত্বে গ্রাম পুলিশ, আনসার সদস্য, থানা পুলিশের পাশাপাশি সেনা ও র্যাব সদস্যরাও টহলে থাকবেন।
মন্তব্য করুন