রংপুরে স্বল্প সময়ে ভালো ফলনের জন্য বিনাধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের
রংপুর জেলা প্রতিনিধি: স্বল্প সময়ে ধান কর্তন করা যায় এবং পানি ও সার কম লাগার কারণে ব্যয় কম হয় বিনাধান চাষে। যার কারণে স্বল্প সময়ে ভালো ফলনের জন্য বিনা ধান-৭ চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের বলে জানিয়েছেন বিনা রংপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রফিকুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার দুপুরে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাটে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন জাত বিনা ধান-১৭ এর মাঠ দিবসের আলোচনায় তিনি এসব তথ্য দেন। ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিনা ধান-৭ স্বল্প সময়ে উৎপাদন সম্পন্ন হওয়ার কারণে পরবর্তিতে ওই জমিতে আলু কিংবা সরিষা করে আবারো ঠিক সময়ে বোরো ধান চাষ করা যায়।
তাছাড়া বিনা ধান-৭ চাষে পানি কম লাগে এবং সারও কম লাগে। যার ফলে চাষিদের ধান উৎপাদনে ব্যয় কমে। এছাড়াও বিনা ধান-১১ বন্যা সহনশীল এবং অধিক ফলনশীল। ২৫ দিন পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত থাকলেও কোন ক্ষতি হবে না। বিনা ধান-৭ ও অন্যান্য বিনা জাত এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৫ টন থেকে সাড়ে ৭ টন পর্যন্ত ফলন হয়। এছাড়াও অন্যান্য জাতের থেকে বিনাধানে পোকামাকড় এর আক্রমণ কম হয়।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র রংপুরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার ড. পলাশ সরকার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিনা রংপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রফিকুল ইসলাম, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, উপ-পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. লোকমান হেকিম। মাঠ দিবসে স্থানীয় এলাকার কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন










