নাম বদলে বাগছাস এখন ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ নামকরণ করা হয়েছে। পূর্বের স্বতন্ত্র, স্বাধীন ছাত্রসংগঠনের পরিবর্তে এটিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আবু সাঈদ কনভেনশন হলে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ পুনর্গঠন ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় সমন্বয় সভা’য় নতুন সংস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে কমিটি ঘোষণার কথা থাকলেও সেটি ঘোষিত হয়নি।
সভায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ছাড় দেবে না জানিয়ে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, যেকোনো মূল্যে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা পেলে তবেই স্বাক্ষর করবে এনসিপি। তিনি আরও বলেন, স্বাক্ষর করার পর দুইটা পক্ষ হয়ে গেছে। এক পক্ষ স্বাক্ষর প্রত্যাহার করতে চায়। আরেক পক্ষ কালি দিয়ে গেড়ে দিতে চায়।
আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল। আর যেন কেউ গণরুম-গেস্টরুম বানাতে না পারে, সেজন্য ছাত্রসংসদকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুনহাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই ঘোষনাপত্র নিয়েও দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হয়নি। একটি রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেটা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অপরদিকে, দলটির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই সারাদেশের জেলা ও মহানগরে এনসিপির আহবায়ক কমিটি দেয়া শুরু হবে। তিনি বলেন, এনসিপি মাই ম্যানের পলিটিক্স করবে না। বিশ্বস্তদের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে দল।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আত্মপ্রকাশ করে।
তখন সংগঠনটি বলেছিল, ‘স্টুডেন্ট ফাস্ট, বাংলাদেশ ফাস্ট’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করা, অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা এবং দলীয় নেতাদের চাঁদায় দল পরিচালনা করার কথা বলছে সংগঠনটি। এরমধ্যে তারা নতুনভাবে ফিরেছে।
মন্তব্য করুন