বগুড়ার সোনাতলায় সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাটে তাবু টানিয়ে গরুর হাট

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : কার্তিক মাসেও প্রচণ্ড গরম ও তীব্র রোদের কারণে বগুড়ার সোনাতলার দিগদাইড় ইউনিয়নের সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাটে গরুর হাটের স্থান পরিবর্তন করে একটি ধান শুকানো চাতালে তাবু টানিয়ে বসানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সরেজমিনে ওই হাটে গিয়ে প্রচুর গরু-ছাগলের আমদানি লক্ষ্য করা গেছে। সেই সাথে স্থানান্তর করা গরুর হাটটি বসানো হয়েছে একটি ধান-চাল শুকানো চাতালে। সেই চাতালে গরুর হাটে টানানো হয়েছে কাপড়ের তাবু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটে আসা গরুগুলোকে প্রচণ্ড গরম ও রোদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য হাট কমিটি এই ব্যবস্থা করেছে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, একসময় পার্শ্ববর্তী সৈয়দ আহম্মদ মডেল আলিম মাদ্রাসা ও রেল লাইনের পের গরুর হাট বসতো। এতে করে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হতো। পাশাপাশি মাদ্রাসা মাঠে হাট বসানোর ফলে খেলার মাঠ গরুর বর্জ্য দিয়ে নোংরা হতো। এ কারণে হাটটি স্থানান্তর করা হয়েছে।
এই গরুর হাটে আশপাশের ৪/৫টি উপজেলা থেকে গরু আমদানি হয়। প্রতি বৃহস্পতিবার গরুর হাট বসে। বেচা-বিক্রিও হয় বেশ ভালো। ওই হাটে নেই তেমন সরকারি সম্পত্তি। তাই আজ পর্যন্ত হাটটি ইজারা হয়নি। হাটের আয় থেকে পরিচালিত হয় একটি এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা।
আরও পড়ুনসেই মাদ্রাসায় প্রায় ৬০-৭০ জন এতিমের পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের আরও সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। সেখানে কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার ওই এতিম খানাটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সৈয়দ আহম্মদ পরিবারের সদস্য হাফেজ মাওলানা ইঞ্জিনিয়ার নাসিদুল হক মাসনবী বলেন, সৈয়দ আহম্মদ পরিবারের সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এলাকাটি শিক্ষানগরী এলাকায় পরিণত হয়েছে। এখানে এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ছেলে-মেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।
তাদের লেখাপড়া, খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছেদ ও চিকিৎসার অর্থ এই হাটের আয় থেকে ব্যয় করা হয়। এমনকি হাটের আয় থেকে চার তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার অসহায় মানুষকে প্রতি হাটবারে অনুদান দেওয়া হয়। এমনকি ওই এলাকাসহ আশপাশের এলাকার দরিদ্র নারী-পুরুষের চিকিৎসা, ওষুধ ও শাড়ি-লুঙ্গি এই হাটের আয় থেকে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন