৫ শ বছরের পুরোনো ও স্বর্ণে মোড়ানো কোরআন

পৃথিবী সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হলো- মহাগ্রন্থ আল কোরআন। যা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি মহান আল্লাহ মানবজাতিকে কল্যাণ ও মুক্তির পথে আহবানের জন্য তার সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর অবতীর্ণ করেন।
পবিত্র কোরআনই আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত চূড়ান্ত ও সর্বশেষ গ্রন্থ। মানবজাতির সকল কল্যাণ, সকল মঙ্গল ও সকল সফলতার উত্স। হাদিসের ভাষ্যমতে, কোরআনে কারিম দুনিয়াতে যেমন মানুষের পরম বন্ধু, তেমনি পরকালেও বন্ধু হয়ে আল্লাহর দরবারে সুপারিশকারী হবে।
তাই বিশ্ব মুসলিমের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ও ভালোবাসার গ্রন্থ আল্লাহর কালাম সম্বলিত মহাগ্রন্থ আল কোরআন। ইসলামের বিধানে, কোরআনে কারিমের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের সবচেয়ে উত্কৃষ্ট পদ্ধতি হলো, কোরআন মাজিদে বর্ণিত মহান আল্লাহর নির্দেশনাগুলোর ওপর আমল করা।
এর বাইরেও অনেকে অনেকভাবে কোরআনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। অনেকে আল্লাহর পবিত্র কালামের প্রতিটি লাইনকে স্বর্ণ মুড়িয়ে সংরক্ষণ করেছেন। তেমনি একটি কোরআনের কপি পাওয়া ভারতীয় এক পরিবারের কাছে। ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর গালফ নিউজের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতীয় একটি পরিবার এমন আছে, যারা প্রায় ৫ শ বছর পুরোনো স্বর্ণমোড়ানো কোরআন পাঠ করার বিরল সৌভাগ্য পায়।
আরও পড়ুনপবিত্র কোরআনের সেই কপিটি বর্তমানে রয়েছে ভারতের এক ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারিসের ঘরে। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, সোনায় মোড়ানো পবিত্র কোরআনের বিশেষ পাণ্ডুলিপিটি তার স্ত্রী আয়েশা কাসিম উপহার পেয়েছেন। ২০০৯ সালে তার স্ত্রীর বড় ভাই ইসমাইল বিন কাসিম মালয়েশিয়াতে তাদের উপহার হিসেবে ‘গোল্ডেন টুলিং কোরআন’ দেন।
তাদের তথ্যমতে, উপহারটির সঙ্গে আরও বহু নথি ছিল, যেমন মালয়েশিয়া থেকে পবিত্র কোরআনের এই বিরল পাণ্ডুলিপিটি স্থানান্তরিত করার অনুমতিপত্র, মালিকানার সনদপত্র এবং কোরআনের ইতিহাস। পাণ্ডুলিপির সঙ্গে থাকা নথিতে উল্লেখ রয়েছে যে, সোনার হরফে লেখা এই কোরআন ১৬ থেকে ১৮ শতকের মধ্যে প্রস্তুতকৃত।
ধারণা করা হয়, অটোমান সাম্রাজ্যের শাসনকালীন সময়ে আরবরা এই বিরল কোরআন চীনে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ১৯৭১ সালে এটি মালয়েশিয়ায় আনা হয়। হারিস জানিয়েছেন, এই বিরল কোরআন পাণ্ডুলিপিটি তেলাওয়াত করে তারা ভীষণ প্রশান্তি অনুভব করেন। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে তার স্ত্রী-সন্তানেরা এই স্বর্ণমোড়ানো কোরআন তেলাওয়াত করতে আনন্দ পান।
মন্তব্য করুন