সিরাজগঞ্জে নেপিয়ারসহ বিভিন্ন ঘাস চাষে কৃষকের সচ্ছলতা

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে নেপিয়ারসহ বিভিন্ন ঘাস চাষে কৃষকের সচ্ছলতা-বাড়ছে দুধের উৎপাদন। এ ঘাস চাষে বেশি লাভবান হচ্ছেন জেলার গো-খামারিরা। ঘাস চাষ প্রতি বছরই বাড়ছে। এবার সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩২৭৫ হেক্টর জমিতে নেপিয়ারসহ বিভিন্ন জাতের ঘাস চাষ করেছে কৃষকেরা।
এর মধ্যে স্থায়ী ২৭৫ হেক্টর ও অস্থায়ী ৩ হাজার হেক্টর জমিতে এ চাষ করা হয়। এসব ঘাসের মধ্যে রয়েছে, নেপিয়ার পাকচং, নেপিয়ার, দাঁড়া পিও-৪, জার্মান, পাড়া, এপ্রিল, এপি ঘাস এবং দেশীয় জাতের দুবলা, দোল ও ধুমচা ঘাস উল্লেখযোগ্য।
নেপিয়ার পাকচং ও নেপিয়ার ঘাসসহ বিদেশি জাতের ঘাস চাষে প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে জমিতে কাটিং রোপণ করে কৃষকেরা। বিশেষ করে কম দামে গাজীপুর ও সাভার থেকে এ কাটিং সংগ্রহ করে জমিতে রোপণ করে কৃষকেরা। এছাড়া জেলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এলাকায় নেপিয়ার ঘাসের নার্সিং থেকে কৃষকদের কাটিং দেয়া হয়ে থাকে। এ চাষ ৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে এবং অন্যান্য জাতের ঘাস সারা বছরই চাষ করা যায়।
এ জেলার সবকয়টি উপজেলাসহ বিশেষ করে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা এলাকার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘাস বেশি চাষ হয়ে থাকে। জেলায় প্রায় ছোট বড় ২০ হাজার খামার রয়েছে। এরমধ্যেও উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরে খামারের সংখ্যা অনেক বেশি। স্থানীয় হাটবাজার থেকে গো খামারিরা ভালো দামে এ ঘাস ক্রয় করে। এতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা এখন খুশি। অনেক খামারি নিজেও এ ঘাস চাষ করে থাকে।
আরও পড়ুনকাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ চরাঞ্চলের কৃষক আজিজুল হক জানায়, এ ঘাস নিজেদের গো খামারের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে এ ঘাস বিক্রি করে থাকি। এসব ঘাসের মধ্যে নেপিয়ার ঘাসের চাহিদা বেশি। কম খরচে এ ঘাস চাষে অনেক কৃষকের সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা দিঘলকান্দি গ্রামের কৃষক নাইম ও আব্দুল বলেন, চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এ চাষ প্রতিবছরই বাড়ছে এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা আগের তুলনায় ঘাস চাষে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. এ.কে.এম আনোয়ারুল হক জানান, এসব দেশি বিদেশি ঘাস চাষে স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ জেলার বিভিন্ন স্থানে নেপিয়ার পাকচং ও নেপিয়ার ঘাস বেশি চাষ হয়ে থাকে। এ চাষে গো খামারিরাই বেশি লাভবান হচ্ছে। প্রতিবছরই কম খরচে এ লাভজনক চাষ বাড়ছে। এ ধরনের ঘাস খাওয়ানোর ফলে দুধের উৎপাদন ও বাড়ছে।
মন্তব্য করুন