মায়ের তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হচ্ছে তানিন’স বিউটি পার্লার
_original_1760283111.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ কিছুদিন আগেই এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে গেছেন চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা। তার অকাল মৃত্যু তার পরিবার, তার সহকর্মী এবং তার দর্শক ভক্তরা এখনো মেনে নিতে পারেনি। বিশেষ করে তানিনের ছোট মেয়ে জান্নাহ’র কথা ভেবে তানিনের এই অকালে চলে যাওয়াটা কেউই এখনো মেনে নিতে পারেনি।
বিশেষত তানিনের মা তাসলিমা বেগম মেয়ের অকালে চলে যাওয়ায় এখনো শোকে কাতর। প্রতিদিনই মেয়ের কথা মনে করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। তানিনের অবর্তমানে তানিনের মেয়ে জান্নাহকে তানিনের মা-ই দেখাশুনা করছেন। জান্নাহকে মানুষের মতো মানুষ করে তোলাই যেন এখন তানিনের মায়ের স্বপ্ন।
এদিকে আজ থেকে প্রায় ষোল বছর আগে ‘তানিন’স বিউটি পার্লার’ নামে একটি বিউটি সেলুনের যাত্রা শুরু হয় রাজধানীর বাসাবোতে। তানিনের মা তাসলিমা বেগমের তত্ত্বাবধানেই ‘তানিন’স বিউটি পার্লার’ পরিচালিত হতো। বিগত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে একই নামে রাজধানীর আফতাবনগরে তানিন নিজে পরিচালনা করতেন ‘তানিন’স বিউটি পার্লার’-এর দ্বিতীয় শাখাটি। তানিনের মৃত্যুর পর তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাজধানীর বাসাবোর বিউটি পার্লারটি বন্ধ হয়নি। কারণ এটি তানিনের মায়ের মালিকানাধীন। তবে দীর্ঘদিন বাসাবোর কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন স্থান থেকে চলতি মাসেই ‘তানিন’স বিউটি পার্লার’ আগের স্থান থেকে অল্প কিছু দূরত্বে ১/৮/১ পূর্ব বাসাবোতে স্থানান্তরিত হয়েছে।
আরও পড়ুনতানিনের মা তাসলিমা বেগম বলেন,‘ আজ থেকে প্রায় ষোল বছর আগে আমার মালিকানাধীন তানিনের নামে তানিন’স বিউটি পার্লারের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে আমি এই পার্লারটি পরিচালনা করে আসছি। তানিনের মৃত্যুর পর আফতাব নগরের শাখাটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আমি আমার মালিকানাধীন পার্লারটি সচল রেখেছি। কারণ এই পার্লারকে ঘিরেই তানিনের অনেক অনেক স্মৃতি। তানিনের স্মৃতি ধরে রাখতেই আমি পার্লারটি অনেক কষ্টের পরেও পরিচালনা করে আসছি। আর নিজেদের এবং যারা আমার নিয়মিত ক্লায়েন্ট তাদের সুবিধা মাথায় রেখেই আগের স্থানটি পরিবর্তন করে নতুন স্থানে এসেছি। আশা করছি সবার দোয়ায় এখানেও ব্যবসা ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। আমার তানিনের জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসীব করেন আর তার মেয়ে জান্নাহকে যেন আমি, আমরা মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।’
গত ২ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজধানীর আফতাবনগরে বাসার কাছে একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যায় আবার অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষন রাখা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ধানমণ্ডির একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার পর ১০ জুন তানিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ‘মাটির পরী’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয়।
মন্তব্য করুন