বগুড়ায় যুবদল নেতা রাহুল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ১৭ জন, ‘মূলহোতা’ জামিল গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার/ কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার কাহালুর আলোচিত যুবদল নেতা রাহুল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ১৬-১৭ জন দুর্বৃত্ত। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা জামিল হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি টিম শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামিলকে গ্রেফতার করে। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে সে এ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে এ সব তথ্য দেয়।
এর আগে এ হত্যার অভিযোগে কাহালু থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত রাহুলের মা হাবিবা আকতার বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় জামিলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাহালু থানার এস আই মাসুদ করিম বলেন, কাহালুর মালঞ্চা ইউনিয়নের মাগুড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে ৬ বিঘা আয়তনের একটি ওয়াকফ্ পুকুর দীর্ঘদিন দখলে রেখে মাছ চাষ করে আসছিল জামিল হোসেন। কিন্তু ওই পুকুরটি নানা ও মামাদের বলে দাবি করে আসছিল যুবদল নেতা এস.এম. সোয়েব সুলতান ওরফে রাহুল।
আরও পড়ুনএ নিয়ে বিরোধ চলছিল তাদের মধ্যে। এ অবস্থায় রাহুল ও তার বন্ধু উজ্জল হুইল বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায় ওই বিরোধপূর্ণ পুকুরে। কিন্ত মাছ ধরতে বাধা দেয় জামিল ও তার লোকজন। এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয় তাদের মধ্যে। এক পর্যায়ে জামিল ও তার সহযোগীরা রাহুল ও তার বন্ধুর ওপর হামলা করে।
এ সময় রাহুল দৌড় দিয়ে জব্বার খানের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। পরে হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে রাহুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত রাহুল বগুড়া শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কইগাড়ি এলাকার সোবাহান সরকারের ছেলে।
এদিকে, ডিবি বগুড়ার ওসি মো. ইকবাল বাহার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুরের গাড়িদহ গ্রামে অভিযান চালিয়ে রাহুল হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা জামিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জামিল হোসেন কাহালু উপজেলার পাল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ আকন্দের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর সে শেরপুরের গাড়িদহ এলাকায় আত্মগোপন করেছিল। তিনি বলেন, জামিল তাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করলেও আদালতে বলেনি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন