ভিডিও শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভ্রাম্যমান আদালতে দুই ভাইয়ের জেল

কামিল ভর্তির জমাকৃত কাগজ ফেরত চাওয়ার জেরে শিক্ষককে মারপিট

কামিল ভর্তির জমাকৃত কাগজ ফেরত চাওয়ার জেরে শিক্ষককে মারপিট। ছবি : দৈনিক করতোয়া

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের কালাইয়ে হাতিয়র কামিল মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর কামিল বিভাগে ভর্তির জমাকৃত কাগজপত্র ফেরত চাওয়া নিয়ে ওই মাদ্রাসার আরবি বিভাগের সহকারি অধ্যাপককে মারপিট করেছে ওই শিক্ষার্থীর স্বামী ও দেবর। পরে আহত সহকারি অধ্যাপককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

তাঁকে মারপিটের ঘটনা বাহিরে জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা ওই শিক্ষার্থীর স্বামী, দেবর ও শ্বশুরকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ অবস্থায় মার্কেটের বাহিরে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে উত্তেজনা বিরাজ করলে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে দুই ভাইকে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের ১৫ দিনের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন। এ ঘটনা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে কালাই আহলে হাদীদ মসজিদ মার্কেটে ঘটেছে।

আহত মাওলানা সেলিম রেজা হাতিয়র কামিল মাদ্রাসার আরবি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও কালাই আহলে হাদীস জামে মসজিদের খতিব। পাশাপাশি এলাকার ২২টি মসজিদের সংযুক্ত কালাই আহলে হাদীস ঈদগাঁ মাঠের খতিবও তিনি। এছাড়া কালাই আহলে হাদীস মসজিদ মার্কেটে তিনি কাপড়ের ব্যবসাও করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কালাই পৌরশহরের থুপসাড়া মহল্লার আব্দুন নুরের দুই ছেলে আব্দুল্লা আল মাহমুদ (৩৮) ও নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরনবী (৩৫)। পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লা আল মাহমুদের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার হাতিয়র কামিল মাদ্রাসা থেকে গত ২০২৩ সালে কামিল পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আব্দুল্লা আল মাহমুদ হাতিয়র কামিল মাদ্রাসায় পাশের যাবতীয় কাগজপত্র নিতে যায়।

সেখানে সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করে দিলেও জমা দেওয়া ফাজিল পাসের কাগজপত্র ফেরত দিতে পারেননি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে মাদ্রাসায় আরবি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মাওলানা ফারুক হোসেন ও মাওলানা সেলিম রেজার সাথে তর্কে জড়ান মাহমুদ। বিকেলে মাওলানা সেলিম রেজা মাদ্রাসা থেকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কালাই আহলে হাদীস মসজিদ মার্কেটে দোকান খুলে তিনি সামনের একটি দোকানে বসেন। একই মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করেন অভিযুক্ত আব্দুল্লা আল মাহমুদও।

আরও পড়ুন

সকালে তর্কের জের ধরে বিকেলে মাহমুদ, তার ছোট ভাই নুরনবী ও তাদের বাবা আব্দুন নুর মিলে মাওলানা সেলিমকে সেখানে ঘেরাও করে মারপিট করে। এতে তার এক হাত ভেঙ্গে। বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা বাবা ও দুই ভাইকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা আক্তার জাহান, কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে অভিযুক্ত দুই ভাই আব্দুল্লা আল মাহমুদ ও নুর মোহাম্মদ ওরফে নুরনবীকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুইজনকেই ১৫ দিনের কারাদন্ডাদেশ দেন।

কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা আক্তার জাহান বলেন, ‘অভিযুক্ত দুইভাইকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়ে তাদের জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মার্কেটের পরিচালনা কমিটি কি ব্যবস্থা নেয় তার উপর আমরা নজর রাখছি।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রংপুরে নীল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের কদর দেশ ও বিদেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে

বিশ্বমানের চক্ষু চিকিৎসায় ধানমন্ডিতে এরিস্টো আই হসপিটাল উদ্বোধন

গ্যাস সংকটের সমাধান

চাল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে নতুন নিয়ম জারি

রংপুরে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় রসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি

বগুড়ার শাজাহানপুরের মন্ডপে মন্ডপে চলছে রং তুলির কাজ