নওগাঁর বদলগাছীতে মাচায় পটল চাষের আগ্রহ দিনদিন বেড়েই চলেছে

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছীতে মাচায় পটল চাষের আগ্রহ দিনদিন বেড়েই চলেছে। পটলের মাচায় ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। আবার কোথাও কোথাও মাকড়সার জালের মত বিস্তারলাভ করেছে পটল ক্ষেতের মাচা। কৃষি প্রধান এই উপজেলার প্রধান সবজি ক্ষেত হলো পটল। আগে যেমন পাট ছিল এখানকার কৃষকের অর্থকরী ফসল, এখন সে স্থান দখল করেছে পটল। এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের সব এলাকাতেই পটলের চাষ হয়েছে। দেউলিয়া ছোট যমুনা নদীর পূর্ব পাশে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মাকড়সার জালের মত পটলের মাচা তৈরি করা হয়েছে। যা চোখে পড়ার মত।
হলুদ বিহার, নন্দহার, বলরামপুর, হাজিপুর জোলাপাড়া, আক্কেলপুর, খামার আক্কেলপুর, ভোলার পালশা, পারিচা, পাথরাবাড়ি গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র পটলের মাচা তৈরি হয়েছে। কয়েকজন কৃষক জানান, মাচায় পটলের ফলন ভালো ভালো হয় এবং সহজে গাছ নষ্ট হয় না। তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায়, সব এলাকাতেই পটলের গাছ লতা ছেড়েছে, মাচায় ছড়িয়ে যাচেছ।
আরও ২০/২৫ দিন পর সব মাচায় পটল গাছে ভরে উঠবে। এমনই চিত্র দেখা যায় এলাকা ঘুরে। বাজার মূল্য ভালো পেলে পটল চাষে অনেক লাভবান হবে কৃষক এবং ৬ মাসের মত ফল দেয়। এই উপজেলার অধিকাংশ কৃষক ৫ কাঠা, ১০ কাটা, এক বিঘা, ২ বিঘা আবার কেউ বাণিজ্যিকভাবে পটল চাষ করে থাকে। ১০ কাঠা জমি পটল চাষ করলে সংসার পরিচালনায় ঐ কৃষকের আর কোন সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী পলি এলাকা হওয়ায় উপজেলায় ভিটা (উঁচু জমি) জমির পরিমাণ বেশি। এ কারণে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, ঝিঙ্গা, মরিচ, বাঁধা কপি, ফুল কপি, ঢেঁড়শ, টমেটো, পটল, বেগুন, আলুসহ সব ধরণের সবজি চাষ হয় সাফল্যের সাথে। এর মধ্যে পটল অন্যতম সবজি ক্ষেত। এই এলাকার পটল দেশের গন্ডি প্রেরিয়ে যায় বিদেশে।
এই উপজেলায় স্থানীয় জাত লাউজান, বারি হাইব্রিড পটল-১ ও ২ চাষ করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় জাত লাউজান জনপ্রিয়। বাজারে এর দাম ও বেশি। পটল চাষী আতিক জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে পটলের দাম ছিল ১৮শ/২হাজার টাকা মণ। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ টাকা মণ।
মন্তব্য করুন