ভিডিও বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২

দুপচাঁচিয়া চেঙ্গা সড়কের সংস্কার কাজ রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা

দুপচাঁচিয়া চেঙ্গা সড়কের সংস্কার কাজ রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা। ছবি : দৈনিক করতোয়া

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলা বগুড়া- নওগাঁ মহাসড়কের তিসিগাড়ি থেকে চেঙ্গা পাল পাড়া হয়ে ডিমশহর স্কুল পর্যন্ত সংস্কারসহ কার্পেটিংয়ের কাজ ৫ বছরেও শেষ হয়নি। মাঝপথে ফেলে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায়  যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের উপজেলা সদরের তিসিগাড়ি থেকে চেঙ্গা পালপাড়া হয়ে ডিমশহর স্কুল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারের অধিক এই গুরুত্বপূর্ন সড়কটি দুপচাঁচিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের চেঙ্গা পালপাড়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ। প্রায় দুই কিলোমিটারের অধিক সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং এর পাথর ও খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়।

পৌরসভা থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রায় ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ১৫০ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত করা হয়। ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট প্রকল্পটি শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। নির্বাচিত ঠিকাদার ২০২০ সালের প্রথমার্থে প্রকল্পটির কাজ শুরুও করেন।

ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তাটি প্রাথমিক সমতলের কাজ করে মাঝ পথে তা ফেলে রেখেছে। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খোয়া উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী করে সড়কটির কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে যায়। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভুক্তভোগী চেঙ্গা গ্রামবাসী হারুন অর রশিদ, স্বপন পাল, রঞ্চিত কুমার পাল, ফনিন্দ্রনাথ পালসহ অনেকেই জানান সড়কটি সংস্কার কাজ মাঝপথে ফেলে রাখায় বর্ষা মৌসুমে সড়কটি কর্দমাক্ত অবস্থায় পরিণত হয়।

আরও পড়ুন

শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালিতে ভরে থাকে। এ ছাড়াও খোয়াগুলো উচু-নিচুৃ হয়ে বের হয়ে থাকায় সাধারণ মানুষসহ যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অটোভ্যান, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, মোটরসাইকেলের টায়ার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠিকাদারের গাফিলতের কারণে ২০২০ সালে শুরু হওয়া কাজটি আজও শেষ হয়নি।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ কামরুল হাসান জানান, প্রকল্পের বরাদ্দ না থাকায় দীর্ঘদিন কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদারও কাজ ফেলে রেখে চলে যায়। রাস্তার কার্পেটিং কাজের পাথর পিচসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদী দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদার লাপাত্তা থাকে।

এরই মাঝে বরাদ্দ এলেও ঠিকাদার আত্মগোপনে থাকায় তার সাথে  যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।  যোগাযোগ হওয়ার পর বর্ষাকাল শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে কাজের বিলম্ব ঘটে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পটির সংস্কারসহ কার্পেটিংয়ের কাজ বাস্তবায়ন করবেন বলেও জানান।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রংপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস পালন

বগুড়ার নন্দীগ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন সোহেলের মানবেতর জীবন

শর্ত সাপেক্ষ জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে এনসিপি- রাজশাহীতে নাহিদ

জামায়াত সরকার গঠন করলে সাংবাদিক ভাইদের বিশেষ সহায়তার আওতায় আনা হবে : অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন

রংপুরে স্বল্প সময়ে ভালো ফলনের জন্য বিনাধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের