বগুড়ার আদমদীঘির অসহায় বাবলুর সাহায্যের আকুতি
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : ‘মানুষ মানুষের জন্যে জীবন জীবনের জন্যে একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা।’ আদমদীঘি উপজেলা সদরের গোড়গ্রামের বাসিন্দা সত্তর বছর বয়সের আব্দুল হাকিম সরদার বাবলু'র জীবনে নেমে এসেছে এক অন্ধকার। এক সময় সংসারে স্বচ্ছলতা, হাসি আনন্দ সব কিছুই ছিল তার সংসারে। এখন আর তার জীবনে কোনোটিই নেই।
অবাক হলেও সত্য যৌবন বয়সে অদম্য শক্তিতে রোজগার করে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে সংসার চালিয়েছে বাবলু। এখন বয়সের ভারে ও শারীরিক অসুস্থতায় ও কর্মক্ষমতা হারিয়ে রাস্তায় শুয়ে ভিক্ষা করছে। বাবলু’র বাবা আব্দুল জলিল মারা যাবার পর তার বাবার রেখে যাওয়া সামান্য কিছু জমিতে ফসল ফলিয়ে আর অন্যের বাড়িতে কৃষি কাজ করে স্ত্রী বিউটি বেগম আর এক ছেলেকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দে সংসার চলতো তার।
জীবনের সকল উপার্জনের বিনিময়ে ছেলেকে বড় করে তোলেন বাবলু। বিয়ে দেন। ছেলেকে বিয়ে দেয়ার পরেই স্ত্রীকে নিয়ে পৃথক হয়ে যায় ছেলে। এরপর নেমে আসে বাবলুর জীবনের করুণ পরিনতি। বয়সের ভারে অক্ষম বাবলু এখন চলাফেরা ও কাজও করতে পারেনা। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ভিক্ষার পথ বেছে নেয় বাবলু।
আরও পড়ুনমানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে স্ত্রী বিউটি বেগমকে নিয়ে চলে তার সংসার। কিন্তু কিছুদিন আগে শারীরিক অক্ষমতা ও অসুস্থতার কারণে পথ চলতে না পেরে অবশেষে স্ত্রীর সহায়তায় আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিসমিল্লাহ হোটেলের পাশে রাস্তায় শুয়ে পথচারীদের কাছে হাত পেতে যে টুকু সাহায্য পায় তা দিয়ে কোন রকমে স্ত্রীকে নিয়ে খেয়ে পড়ে চলছে তাদের জীবন।
সমাজের বিত্ত্ববান মানুষের সহানুভূতি আর মানবতার হাত বাড়িয়ে দিলে যে কটা দিন বাবলু বেঁচে থাকবে অন্তত সে কটা দিন খেয়ে পরে বাঁচতে পারবে। তিনি শুধমাত্র একটু খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য সমাজের বৃত্তবানদের প্রতি আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন









