বগুড়ার শিবগঞ্জে রাস্তার ধারে মাসকলাই
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: শিবগঞ্জ উপজেলার ছোট বড় বিভিন্ন রাস্তার দুই ধারে পতিত জায়গায় ভিন্নধর্মী দৃশ্য; সবুজে ঘেরা মাসকলাই গাছের সারি শোভা পাচ্ছে। আগে যেসব জমি অব্যবহৃত ও অনুৎপাদনশীল অবস্থায় পড়ে থাকতো সেসব জায়গাতেই এখন কৃষকরা চাষ করছে মাসকলাই। এতে একদিকে যেমন পতিত জমির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে অন্যদিকে কৃষকরাও পাচ্ছেন বাড়তি আয়। এর ফলে একদিকে যেমন কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে সহায়তা পাচ্ছে তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখছে।
ডাল জাতীয় এ ফসল উপজেলায় বানিজ্যিকভাবে চাষ না হলেও কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য অল্প পরিমান জমিতে, পুকুরপাড়, ঈদগাহ মাঠ, বাড়ির আনাচে কানাচে ফাঁকা জায়গাসহ অন্যান্য উঁচু পতিত জমিতে মাসকলায়ের চাষ করে থাকেন। এবার বিনা চাষে রাস্তার ধারের পতিত জায়গায় মাসকলায়ের চাষ করেছেন তারা, যা ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে মোকামতলা-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়ক, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক, আমতলী-দাড়িদহ, গুজিয়া-মোস্তফাপুর সড়কসহ উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় পাকা ও কাঁচা রাস্তার দুই ধারে সবুজ মাসকলাই চাষের ফলে চোখে পড়ছে এক সবুজ দিগন্ত। এদিকে চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওয়ায় মাসকলাই চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে উপজেলা কৃষি অফিস।
আরও পড়ুনস্থানীয় কৃষকরা জানান, মাসকলাই চাষে খরচ তুলনামূলক কম এবং সময়ও কম লাগে। রাস্তার ধারের জমিতে বিনা চাষে মাসকলাই চাষ করা যায়। সহজে পানি নিষ্কাশন হওয়ার কারনে পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণও তুলনামূলক কম হয়। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন,'মাসকলাই এর ডাল সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবার।
যে জমিতে অন্য ফসল হয়না সেখানে মাসকলাইয়ের চাষ সহজেই করা যায়। এ ফসল চাষ করতে তেমন কোন ঝামেলা নেই। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যেন রাস্তার পাশের পতিত জমিগুলো চাষের আওতায় আনা হয়। মাসকলাই এমন একটি ফসল যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
মন্তব্য করুন










