৫০ বছরেও অ্যানজেলিনা জোলি লাবণ্যময়ী, গোপন রহস্য কি

বিনোদন ডেস্ক ঃ হলিউডের অন্যতম সবচেয়ে প্রশংসিত সুন্দরীর অন্যতম অভিনেত্রী অ্যানজেলিনা জোলি। এখন তার বয়স ৫০ বছর। কিন্তু এই বয়সেও তার যৌবনের দ্যুতি জ্বজল্যমান। বহু তরুণী, যুবতী তাকে দেখে হা করে থাকেন। ভাবেন- এই বয়সে এসেও কিভাবে জোলি তার রূপলাবণ্য ধরে রাখেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তার দীপ্তি আসে প্রতিরোধমূলক যত্ন, কম মেকআপ ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে।
তার রূপলাবণ্যকে ধরে রাখার আসল রহস্য আসলে কি? এ প্রশ্নে জোলির ডার্মাটোলজিস্ট ডা. রোনডা র্যান্ড বলেন, দৈনিক সানস্ক্রিন ব্যবহার তার ত্বককে রুক্ষতা এবং বলিরেখা থেকে রক্ষা করার মূল কারণ। জোলি তীব্র স্ক্রাব বা রাসায়নিক সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করেন না। তার পরিবর্তে, তিনি নরম ক্লিনজার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং মাঝে মাঝে আলফা হাইড্রক্সি বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করেন। দীপ্তি বজায় রাখতে তিনি মাঝে মাঝে হালকা লেজার রিসারফেসিং করান। তবে ত্বককে পরিবর্তন করা কোনো কঠোর প্রক্রিয়া তিনি এড়িয়ে চলেন। শুধু কাজের সময় বা অভিনয়ের সময় মেকআপ ব্যবহার করেন। প্রত্যেকবার কাজ শেষে তা সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলেন, যা ত্বকের ক্ষতি থেকে তাকে রক্ষা করে। অ্যানজেলিনা টুপি পরে থাকেন। পর্যাপ্ত পানি পান করেন, যাতে অতিবেগুনি রশ্মি ও সূর্যের ক্ষতি প্রতিরোধ করা যায়। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করেন। পর্যাপ্ত পানি পান তার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ও দীপ্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। জোলি সার্কিট ট্রেনিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিং, কার্ডিও এবং মাঝে মাঝে মুয়াই থাই বা মার্শাল আর্টস করেন। ভালো ঘুমও তার যৌবনময় চেহারার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জোলি মাঝে মাঝে মেডিকেল-গ্রেড স্কিনকেয়ার, মাইক্রোনিডলিং বা হালকা ফিলার/স্কিন বুস্টার ব্যবহার করতে পারেন, যা ত্বকের আর্দ্রতা ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
আরও পড়ুনমন্তব্য করুন