বগুড়ার সবজির বাজারে স্বস্তি উধাও

স্টাফ রিপোর্টার : সহসাই স্বস্তি ফিরছে না বগুড়ার সবজির বাজারে। মধ্য আশ্বিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকের ফসলের ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ায় সরবরাহ সংকটে বগুড়ার বাজারগুলোতে ৬০-৮০ টাকার কেজির কমে মিলছে না বেশিরভাগ সবজি। এমন অস্বস্তিতে মাস পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম সাধারণে নাগালে আসতে সময় লাগবে আরও সময় লাগবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারসহ শহরের বেশিরভাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়, পটল, করলা, ঢেঁড়স ও ঝিংগা ৮০ টাক কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মূলা ও চিচিংগার কেজি ৬০, বেগুনের কেজি ১০০/১২০, বরবটি ৮০/১০০, ছিম ২৪০, কপি ১৮০, কাঁচামরিচ ১৬০, মিষ্টিকুমড়া ৫০, পেঁপেঁ ২৫, কচুমুখী ৪০, আলু মানভেদে ২০/২৫, পেঁয়াজ ৭০/৭৫, আদা ১৪০, রসুন মানভেদে ১২০/১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফতেহ আলী বাজারে সবজি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, মধ্য আশ্বিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকের ফসলের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে সবজি সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে সবজির বাজারে এমন অস্বস্তি বিরাজ করছে। তিনি আরও বলেন, এখন যে আবহাওয়া বিরাজ করছে, এতে আশা করা যায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে শীতের সবজি উঠতে শুরু করবে, তখন বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
আরও পড়ুনএদিকে, ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল ৬০/৬২ টাকা, বিআর-৪৯ চাল ৬২/৬৩, স্বর্ণা ৫৮/৬০, কাটারিভোগ ৭২/৭৫, নাজিরশাইল ৮৫/৮৬ এবং মিনিকেট চাল ৭৫/৭৬ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। প্রতি কেজি আটার প্যাকেটে দাম বেড়ে ৫৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯ এবং পাঁচ লিটার তেল ৯১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিন ডিমের হালি ৪৬, দেশি মুরগির কেজি ৫২০, ব্রয়লার ১৭০ এবং ককরেল মুরগি ২৭০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়। গরুর মাংস ৭২০/৭৫০ এবং খাসির মাংসের কেজি ১০৫০ থেকে ১১শ’ টাকা।
এদিন আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, তিন কেজি ওজনের কাতল মাছ সাড়ে তিনশ’ টাকা এবং দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই মাছ ৩শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়াও চিংড়ির কেজি ৮শ’ টাকা, টেংরা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, পাবদা আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা যায়।
মন্তব্য করুন