বগুড়ার ধুনটে পল্লী বিদ্যুতের দেড় হাজার নষ্ট মিটার গ্রাহকদের ভোগান্তি

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের মিটার সংকটে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নষ্ট মিটারের গ্রাহকরা। মিটার রিডাররা নষ্ট মিটারের মনগড়া রিডিং রিপোর্ট করে অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল চাপিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ নিয়ে প্রতিদিনই বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকরা এসে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বাড়তি বিদ্যুৎ বিল হওয়ায় কথা কাটাকাটিতেও জড়াচ্ছেন। এদিকে গ্রাহক গেলেই অফিসে কর্মকর্তারা সমস্যা ও কি কি ব্যবহার করেন জানিয়ে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, তাদের প্রদানকৃত তথ্যানুযায়ী গড় বিল করা হয়। আর এভাবেই মাসের পর মাস গড় বিলের জালে আটকে গ্রাহকের পকেট কাটছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এছাড়াও নতুন সংযোগের শত শত আবেদন জমা পড়ে থাকলেও মিটার সংকটে সংযোগ দিতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধুনট জোনাল অফিসে গেলে তারা জানান, আবাসিক ও সেচ শিল্প মিলে প্রায় ৯৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। দিন দিন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। এদিকে চাহিদা অনুযায়ী মিটারের সরবরাহ না থাকায় নতুন সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি নষ্ট মিটার সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে দেড় হাজার মিটার নষ্ট রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখন যা সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে গ্রাহকের মিটার পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনখাদুলী গ্রামের গ্রাহক মসলিম উদ্দিন জানান, অন্যবারের তুলনায় বেশি বিল আসায় অফিসে যান। পরে আবেদন করতে বললে আবেদন করেন। গড় বিল করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অফিসে মিটার নেই। পাঁচথুপি গ্রামের বেলাল বলেন, মিটারে প্রায় দেড় বছর ধরে সমস্যা। অফিসে ঘুরতে ঘুরতে জানডা শেষ। অফিসে গেলে তারা কয়, মিটার নাই, আসলে বদলায়ে দেবে। এখন তাদের ইচ্ছামত বিল করে। বাধ্য হয়ে বিল পরিশোধ করি।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধুনট জোনাল অফিসের ডিজিএম কামাল পাশা বলেন, চাহিদামত মিটার সরবরাহ না থাকায় সংকট বাড়তে থাকে। প্রতিদিন শত শত গ্রাহকের অভিযোগ মোকাবিলা করেই চলতে হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকলে আমাদের কী করার থাকে! বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি এই পরিস্থিতি খুব শিগগিরই অবসান ঘটবে।
মন্তব্য করুন