ভিডিও সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননা করে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারি

সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননা করে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারি

জামালপুরের মাদারগঞ্জে সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননা করে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারীর ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগীদের হামলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নামজারি ও হামলার প্রতিকার চেয়ে আজ সোমবার (১৩ অক্টেবর) দুপুরে উপজেলার বালিজুড়ী বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

সংবাদ সম্মেলনে স্বজনদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুমন আহাম্মেদ নামে একজন ভুক্তভোগী।

সুমন আহাম্মেদ বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে বালিজুড়ী এলাকার ৩৮ শতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছে তার পূর্বপুরুষ।সেই জমি ১৯৮৬ সালে মো. ইস্রাফিল শেখের নামে ভূমিহীন হিসেবে রেজিস্ট্রি কবুলিয়ত করে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সেই জমি নিজেদের বলে দাবি করে ২০০৭ সালে মামলা করে একটি পক্ষ। মামলায় ইস্রাফিল শেখের ওয়ারিশদের পক্ষে রায় দেন নিম্ন আদালত, উচ্চ আদালত ও সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননা করে একটি চক্রের সাহায্যে চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে সাড়ে ২৮ শতাংশ জমি নামজারি করা হয় প্রতিপক্ষ চারজনের নামে- এমন তথ্য জানিয়ে সুমন বলেন, এতে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারি করা হয়।

ওই সময় মাদারগঞ্জে বালিজুড়ী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পদে সাদেকুর রহমান, সাবরেজিস্ট্রার পদে মো. আবু কালাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা দায়িত্বে ছিলেন। সাব রেজিস্ট্রার ছাড়া অন্যরা পরে বদলি হয়ে গেছেন।

সুমন অভিযোগ করে বলেন, সেই জমির ২২.৭৫ শতাংশ অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলেও অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে সেই চক্রটি। পুরো বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের কাছে ১১ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা। এসবের প্রতিবাদ করায় ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন প্রতিপক্ষরা।

আরও পড়ুন

এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তারা। সব সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।

এসব বিষয়ে জানতে মাদারগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. আবু কালামের সঙ্গে যোগোযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘আমরা একটি জিডি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।’

মাদারগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসেল দিও বলেন, ‘নায়েব সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার পর নামজারি করা হয়। তবে অনলাইনের মাধ্যমে বন্ধের দিন বা কম সময়ের মধ্যে নামজারি করা যায়। এখন আদালতের রায় থাকার পরেও নামজারির বিষয়টি আমার জানা নেই। কারণ তখন আমি ছিলাম না। এখন ভুক্তভোগী পরিবার আমাকে বিষয়টি জানালে আমি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। এ ছাড়া এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার আমার কাছে এলে আমি পুরো বিষয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুপ্রিম কোর্টের রায় অবমাননা করে একই জমি দুই পক্ষের নামে নামজারি

হাদিসের ভাষায় ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত

স্বর্ণার জোড়া রেকর্ডে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ

নেত্রকোনায় ভারতীয় মদসহ যুবক আটক

বগুড়ার শিবগঞ্জে ধান ক্ষেতে ইঁদুরের উৎপাতে দিশেহারা কৃষক

মেসির সঙ্গে খেলতে পারাটা আমার জন্য সৌভাগ্যেরঃ এমবাপ্পে