গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মরিচসহ সবজির দামে ভোক্তাদের শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে বাড়ছে কাঁচা মরিচসহ শাক-সবজির দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে ১০০ টাকা বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। একইসাথে শাক-সবজিও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বর্তমানে কাঁচা তরকারির বাজারে এসে অস্থির হয়ে উঠছেন সাধারণ ভোক্তারা। ফলে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ চরম বেকায়দায় পড়েছেন। এসব পণ্য কিনতে তাদের মাঝে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস।
সরেজমিনে আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) পলাশবাড়ীর সাপ্তাহিক কালিবাড়ী বাজার ও বাঁশকাটা বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মূলা ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, তরই ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কদোয়া ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কাঁকরোল ৪০, শজনে ১২০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউ শাক ৩০ টাকা, ধনেপাতা ৮০ টাকা, লাল শাক ৩০ টাকা ও লাউ ৪০-৫০ টাকা পিস (প্রকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে।
অথচ গত দুই সপ্তাহ আগে ওইসব পণ্যের দাম অনেকটা কম ছিল। তবে আলু, মুখীকচুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কালিবাড়ী বাজারে সবজি কিনতে আসা আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিক জানান, যেভাবে চাল, আটা, ময়দাসহ মরিচ-সবজির দাম বেড়েছে, সে তুলনায় আয় বাড়েনি তার।
আরও পড়ুনএতে করে পরিবারের চাহিদা পূরণে বাড়ছে ঋণের বোঝা। কালিবাড়ী বাজার বাজারের ভাই বোন সবজি ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মোজাহিদ বলেন, চলতি বর্ষায় কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে কৃষকদের ক্ষেতে শাক-সবজির উৎপাদন কমেছে। এতে করে আমদানির চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় এসব পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে।
গাইবান্ধার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মন জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকি অব্যাহত রয়েছে। যারা কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন