টানা তিনদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে পঞ্চগড়ে
 24-12-22 copy_original_1734281053.jpg)
পঞ্চগড় প্রতিনিধি : টানা তৃতীয় দিনের মত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে উত্তরের শীতের জেলা পঞ্চগড়ে। আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গায়। এর আগে গত শুক্রবার ৮.৪ এবং শনিবার ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। আবহাওয়া অফিসের হিসেব অনুযায়ী পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে প্রতিদিনই বাড়ছে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত শুক্রবার ২৬.২ এবং শনিবার ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। দিনের কড়া রোদে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দিনের মিষ্টি রোদে উধাও হয়েছে শীত। এখন শুধু সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভূত হয়।
রাতে যে সময়টাতে বেশি শীত অনুভূত হয় সে সময়টাতে সবাই কাঁথা, কম্বল, লেপ মুড়িয়ে ঘুমিয়ে থাকে। তবে দিন ও রাতে তাপমাত্রার ব্যবধান অনেক বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালমুখি হচ্ছেন অনেকেই। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। পঞ্চগড় এম আর কলেজ রোডের গৃহিণী কানিজ ফাতেমা কবিতা জানান, তার চার বছর বয়সী মেয়ে সাবরিয়া জান্নাত সাফা রোববার ভোররাত থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনসর্দি কাশির সাথে পেট ব্যথার কারণে সকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ডাক্তারের কাছে যান তিনি। ডাক্তার হাসপাতালের ওষুধ না দিয়ে প্রেসক্রিপশন হাতে ধরিয়ে দেন। সব ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হয়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্র নাথ রায় জানান, শীতের তারতম্য নির্ভর করে বাতাসের দিক ও গতির ওপর।
দেশের কোথা থেকে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে তা তাপমাাত্রার কমবেশির অন্যতম নিয়ামক। সাধারণত শীতকালে বাতাসের স্বাভাবিক গতিবেগ ঘন্টায় ৮-১২ কিলোমিটার বা তারও বেশি হয়। কোন অঞ্চলে দীর্ঘ সময় কুয়াশা পড়ল বেশি শীত অনুভূত হয়। কারণ সূর্যের আলো কুয়াশা ভেদ করে ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করতে পারে না। এ সময় সুর্যের আলো কুয়াশার ওপর পড়ায় কুয়াশা উত্তপ্ত হয়, ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয় না। যার ফলেই ঠান্ডা বেশি অনুভূত হয়। আর দিনের বেলা সূর্যের কিরণ যত বেশি স্থায়ী হবে ততই শীত কম অনুভূত হবে।
মন্তব্য করুন