নওগাঁয় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন, স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন লতা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূ। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মান্দা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রধান আসামি জোবাইর হোসেনের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।
জানা যায়, লতা খাতুন মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পানিয়াল গ্রামের ভুবন শাহের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী জোবাইর হোসেন(২৫) কুসুম্বা ইউনিয়নের গাইহানা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিদেশে অবস্থানকালে মোবাইল ফোনে লতার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জোবাইরের। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনেই তাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে লতা শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস শুরু করেন।
বিয়ের কিছুদিন পর বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য জোবাইরের পরামর্শে লতা খাতুনের পরিবার দু’দফায় শ্বশুর মিজানুর রহমানের কাছে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা হস্তান্তর করে। পরে গত ২১ মে দেশে ফিরে আসার পর জোবাইরের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে ২ লাখ টাকা মোহরানায় বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই জোবাইর ও তার পরিবার আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
যৌতুক না পেয়ে প্রায়ই লতার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো। গত ৮ জুলাই তাকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনএ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী লতা খাতুন নওগাঁ আমলী আদালতে মামলা করেন। মামলায় স্বামী জোবাইর হোসেন ছাড়াও তার বাবা মিজানুর রহমান, মা ও দুই আত্মীয়কে আসামি করা হয়েছে। বাদিপক্ষের আইনজীবী মোতাহার হোসেন বাদশা বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে প্রধান আসামি জোবাইরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশনার কোনো কাগজ পায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন