আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যথাযথ মর্যাদায় দেশজুড়ে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ (স.) জন্মবার্ষিকী ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করছে পাকিস্তান। গতকাল রাত থেকেই রাজধানী ইসলামাবাদসহ ছোটো-বড় বিভিন্ন শহরে আলোকসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবি চান্দ্র বছরের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়ালের ১২ তারিখ জন্মেছিলেন হযরত মুহম্মদ (স.)। মুসলিম বিশ্ব এই তারিখটিকে নবীর জন্মদিবস বা ঈদে মিলাদুন্নবী নামে উদযাপন করে। আরবি বর্ষপঞ্জি চাঁদের গতিবিধির ওপর নির্ভরশীল বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একদিন আগে বা পরে আসে ঈদে মিলাদুন্নবী। বাংলাদেশে গতকাল ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে, পাকিস্তানে হচ্ছে আজ।
অন্যান্য দেশের মুসলিমদের মতো পাকিস্তানের মুসলিমরাও এদিন প্রীতি মিছিল করেন, মসজিদে মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন হয় এবং বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের কারণে দেশটির বিভিন্ন শহরের পুলিশ বিশেষ ট্রাফিক পরিকল্পনাও ঘোষণা করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পাকিস্তান ও সমগ্র বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে বিশেষ বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে উভয়েই নবীর জীবনাচরণ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে ব্যক্তিগত জীবনে তার প্রয়োগের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।
বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেন, “সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের নবীর জীবনপথকে এমনভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন, যেন আমরা আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাকে অনুসরণ করতে পারি। আমাদের প্রিয় নবী তার জীবদ্দশায় এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন, যে সমাজে ধনী-দরিদ্র সবাই মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করত।”
“আজ বিভিন্ন বিভক্তি, অসহিষ্ণুতা এবং দমন-পীড়ণে বিপর্যস্ত এই বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন ভালবাসা, সহিষ্ণুতা এবং মানবাধিকার। মহানবীর জীবনাচরণকে অনুসরণ এবং চর্চার মাধ্যমে এই গুনগুলো আমরা অর্জন করতে পারি।”
সূত্র : জিও টিভি
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।