প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:০৩ রাত
এবার ঢাকার প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেল ‘অ্যাভাটার’
এবার ঢাকার প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেল ‘অ্যাভাটার’
বিনোদন ডেস্কঃ সিনেমা ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে দেওয়া সেই নীলাভ জগতের কল্পকাহিনী আবারও ফিরছে বড় পর্দায়। শুক্রবার বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেল জেমস ক্যামেরনের মহাকাব্যিক কল্পবিজ্ঞান সিরিজের তৃতীয় সিনেমা ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। একই দিনে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সেও দেখা যাবে বহুল প্রতিক্ষীত এই ছবি।
ইতোমধ্যে ‘নাও শোয়িং’ প্রচারণা চালিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স। প্রাথমিকভাবে ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর চলবে শো।
২০০৯ সালে ‘অ্যাভাটার’ দিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন জেমস ক্যামেরন। সেই সময় সিনেমাটি ২.৯ বিলিয়ন ডলার আয় করে ইতিহাসের সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নেয়। দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষা শেষে ২০২২ সালে মুক্তি পায় দ্বিতীয় কিস্তি ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’, যা প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করে বক্স অফিসে নিজের আধিপত্য বজায় রাখে। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে এবার তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলেন এই কিংবদন্তি নির্মাতা।
লন্ডনে সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীর পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছে ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। সমালোচকদের মতে, এটি শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং একটি অভিজ্ঞতা। কোর্টনি হাওয়ার্ড লিখেছেন, ‘অ্যাভাটার থ্রি মনে করিয়ে দেয়, কেন সিনেমা হলে সিনেমা দেখা জরুরি।’ কলাইডারের পেরি নেমিরফ তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘প্যানডোরায় ফিরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছে সিনেমাটি দেখে। এ যেন নীল-আধার প্যানডোরা আবার ডাকছে।’ মাইকেল লি ভিজ্যুয়াল নিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘এই সিনেমার ভিজ্যুয়াল-অ্যাকশন দাঁড়িয়ে গেছে আলাদা এক উচ্চতায়।’
আগের পর্বে সুলি পরিবারের বড় ছেলে নেটেয়ামের মৃত্যু তাদের জীবনে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছিল। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার লড়াইয়ের মধ্যেই এবার আসবে নতুন বিপদ। এবার গল্পের প্রেক্ষাপট হবে ভিন্ন। এতদিন প্যানডোরার অধিবাসী ‘নাভি’দের কেবল ইতিবাচক রূপই দেখেছেন দর্শকরা। কিন্তু এবার জেমস ক্যামেরন তাদের অন্ধকার দিকটি তুলে ধরবেন।
সিনেমার বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মাতা বলেন, এবার আগুনের প্রতীক হিসেবে থাকবে ‘অ্যাশ পিপল’। আমি নাভিদের আরেকটি দিক দেখাতে চাই। কারণ, এখন পর্যন্ত আমি তাদের শুধু ভালো দিকটাই দেখিয়েছি। প্রথম ছবিগুলোতে মানুষকে দেখানো হয়েছে নেতিবাচক রূপে আর নাভিদের দেখানো হয়েছে ইতিবাচক হিসেবে। এবার আমরা উল্টোটা করব।
স্যাম ওয়ার্থিংটন, জোয়ি সালডানা এবং ওনা চ্যাপলিনের অসাধারণ অভিনয় আর ক্যামেরনের অকল্পনীয় নির্মাণশৈলীতে সিনেমাটি বক্স অফিসের আগের সব রেকর্ডকেও চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে ধারণা করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন



_medium_1766131315.jpg)

_medium_1766072664.jpg)
_medium_1766072089.jpg)