রঙিন শিমে কৃষকের হাসি
রংপুরের তারাগঞ্জে শিম চাষে লাখপতি অনিল
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: দূর থেকে তাকালেই চোখে পড়বে শিমের মাচায় সবুজের সাথে দুলছে রঙিন ফুল। সেই ফুলের শাখায় থোকায় থোকায় ধরেছে শিম। চোখ মেলে দখেলে মনে হবে সাদা আর বেগুনি রঙের প্রজাপতি খেলা করছে।
শিম চাষ করেই লাখপতি হয়েছেন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ দরগাপাড়া গ্রামের সবজি চাষি অনিল রায়। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি শিম চাষে সফল হয়েছেন। অনিল রায় এবারে প্রায় ৪৫ শতাংশ জমিতে বারি জাতের শিম চাষ করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে বিক্রি করার জন্য শিমের ক্ষেত থেকে শিম তোলার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন অনিল রায়। জমির মাচায় সবুজ গাছগুলো ফুলে ও থোকায় থোকায় ভরে উঠেছে শিম। শিম চাষি অনিল জানান, তার বাবার রেখে যাওয়া ৮৫ শতক জমিতে তিনি সারা বছর বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে থাকেন।
এবার তিনি ৪৫ শতাংশ জমিতে বারি জাতের শিম চাষ করেছেন। প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের শেষে অথবা ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে ওই জমিতে শীতকালীন আগাম জাতের শিম লাগান তিনি। ভাল ফলনের জন্য শিম ক্ষেতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্ষেতজুড়ে শিমের মাচায় থোকায় থোকায় ভরে উঠেছে শিম। গত দেড় মাসে তিনি প্রায় ৫৫হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রতি সপ্তাহে ৬ থেকে ৮ মণ শিম ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৪০০ দামে বাজারে বিক্রি করেন। শিম চাষ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী।
বর্তমানে সব ধরনের সবজির বাজার দর অনেক ভাল। এমন অবস্থা চলমান থাকলে আর আবহাওয়া ভাল থাকলে শিম ক্ষেত থেকে দেড়, দুই লাখ লাভ হবে বলে আশা করেন তিনি। অলিন রায়ের সবজি চাষে সাফল্যে দেখে ওই গ্রামের পরিতোষ রায়, আকবর আলী, সোলেমান হোসেন, হাসেম আলী, বিষাদু, আদেশ রায়, পাগলু, সিমান্ত রায়, শুকারু দাস জমিতে শিম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আবার অনেকেই শিম চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার ধীবা রানী রায় জানান, অনিলের মতো অনেক কৃষক এখন শিম চাষ করছেন। এসব কৃষককে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। শীতকালীন আগাম জাতের শিম চাষ করে কৃষকেরা অনেক লাভবান হচ্ছেন।
মন্তব্য করুন

_medium_1764333050.jpg)
_medium_1764330833.jpg)
_medium_1764330328.jpg)
_medium_1764326038.jpg)




