জিততে টাইগার যুবাদের লক্ষ্য ২৬৬ রান
দেড় যুগ পর বগুড়ায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ, মাঠে দর্শকের উচ্ছ্বাসিত উপস্থিতি
স্পোর্টস রিপোর্টার : দীর্ঘ ১৬ বছর পর বগুড়ার মাটিতে বসেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর। আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার সকালে একে অপরের মুখোমুখী হয়েছে। একদিনের ম্যাচে সকালে আফগান যুব দল টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আফগানিস্তানের যুবারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ ইউকেটে ২৬৫ রান করে। দলের পক্ষে উজাইরউল্লাহ সর্বোচ্চ ১৪০ করে অপরাজিত থাকেন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে ফয়সালের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশ দলের পক্ষে ইমন ৫ ও রিজান ২ ইউকেট তুলে নেন।
দীর্ঘদিন পর আবারও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে বগুড়ার এই ঐতিহাসিক ভেন্যু। বয়সভিত্তিক দলের হলেও দীর্ঘ সময় পর বগুড়ার কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে ছিল মানুষের লক্ষ্যণীয় ভিড়। মধ্য কার্তিকের রোদ উপেক্ষা করে মাঠে এসেছে বিভিন্ন বয়সী দর্শক। খেলা দেখার জন্য কোন টিকিটের ব্যবস্থা না থাকায় স্টেডিয়ামের বেশিরভাগ গ্যালারি ছিল দর্শকের সরব উপস্থিতি। সকালের দিকে দর্শক উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ইনিংসে দর্শক আরও বলবে বলে জানা গেছে।
উচ্ছ্বাসিত দর্শকরা বলছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে শুধুমাত্র প্রতিহিংসার কারণে এমন আন্তর্জাতিক একটি মাঠকে উপেক্ষা করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য যেকোন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের তুলনায় বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়াম কোন দিক দিয়েই পিছিয়ে নেয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে বগুড়ার মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা বলছেন, ফ্লাড লাইটসহ অবকাঠামোগত অবশিষ্ট কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে এই মাঠে জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা হোক।

এদিকে এত বছর পর আবারও আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফেরায় শহরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। স্টেডিয়াম এলাকার আশেপাশেও তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই আয়োজন সফল হলে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের ম্যাচও বগুড়ায় আয়োজনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ক্রিকেটের প্রাণ ফিরবে এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পুন্ড্রনগরে।
২০০৮ সালের পর বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলসহ জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এখানে। এরপর মাঠটি মূলত ঘরোয়া লিগ ও অনুশীলনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
মন্তব্য করুন










