সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত দুদক’র
সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেওয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদক’র জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম মামলা অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদক জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। আজই মামলা হতে পারে বলে জানা গেছে।
গত ৭ জানুয়ারি নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এর পরপরই তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠানো হয়। দুদকে আসা আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক হিসাব ১৬৩টি। তারা এসব হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা করেছেন। এর মধ্যে ৩৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন। এছাড়া পরিবারের চার সদস্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন ১২টি। এই কার্ডগুলো দিয়ে ২৮ লাখ টাকার বেশি লেনদেন করেছেন।
প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, নাঈমুল ইসলাম খানের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ৯১টি। এসব হিসাবে ২৪৯ কোটি টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ২৩৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা তিনি উত্তোলন করেছেন। আর তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি ১৩টি ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করেন। এসব হিসাবে ১৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে তিনি ১৩ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন।
তাদের তিন মেয়ের ব্যাংক হিসাবেও মোটা অঙ্কের অর্থ জমা হওয়ার তথ্য মিলেছে। আদিবা নাঈম খানের হিসাবে ৩৫ লাখ, লাবিবা নাঈম খানের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ২৫ লাখ এবং যূলিকা নাইম খানের অ্যাকাউন্টে ৬১ লাখ টাকা জমা হয়েছে। এসব অর্থের সিংহভাগই তারা উত্তোলন করে নিয়েছেন। এ ছাড়া নাঈমুল ইসলাম খানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৪৬টি হিসাবে জমা হয়েছে ১২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাই তিনি উত্তোলন করে ফেলেছেন বলে জানা গেছে। ২০২৪ সালের ৬ জুন শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান নাঈমুল ইসলাম। ওই বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপন করেন।
মন্তব্য করুন








