কৃষকের পায়ের ধুলাই উৎকৃষ্ট সার
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি: ‘কৃষকের পায়ের ধুলো উৎকৃষ্ট সার’ বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, কৃষকরা মাঠে নিয়মিত ফসল পর্যবেক্ষণ করে গাছের পুষ্টি ও রোগ-বালাইয়ের ঘাটতি বা সমস্যা সহজেই বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাই তাদের নিয়মিত মাঠে উপস্থিতিই ফসলের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা ও সারস্বরূপ।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে 'জৈব পদ্ধতিতে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের কলাকৌশল' বিষয়ক চাষি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি একথা বলেন। কর্মশালায় কৃষকদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাছ তো কথা বলতে পারে না। আপনি নিয়মিত মাঠে যাবেন, পর্যবেক্ষণ করবেন।
গাছের রোগ বা পুষ্টির ঘাটতি নির্ণয়ের কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি গাছের পুরাতন পাতায় হলুদ বর্ণ ধারণ করে, তবে তা নাইট্রোজেনের সমস্যা নির্দেশ করে, সেক্ষেত্রে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে। আবার, গাছের কোনো প্রকার পুষ্টির অভাব বা জিংকের ঘাটতি হলেও কৃষকরা লক্ষণ দেখে বুঝতে পারেন।
তিনি আরও যোগ করেন, মাটিতে ১৭ প্রকার পুষ্টি উপাদান থাকে। এর কোনো একটির অভাব হলেই অপুষ্টিজনিত লক্ষণ প্রকাশ পায়, যা দেখে কৃষকরা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। এজন্যই বলা হয় কৃষকের পায়ের ধুলো উৎকৃষ্ট সার। কারণ আপনি যখন ফসলের এই অবস্থা দেখবেন, তখন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। যে ঘাটতিটা হবে, সেই অনুযায়ী ওই সার ব্যবহার করবেন এবং ট্রিটমেন্ট দেবেন।
আরও পড়ুনপোকা লাগলে বা রোগাক্রান্ত হলে চাষিরা দ্রুত ব্যবস্থা নেন উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করেন, আপনি যখন মাঠে না যাবেন, মনিটরিং না করবেন, তখন ওই ফসল রোগাক্রান্ত হবে এবং আরো বাড়তে থাকবে। পরিশেষে আপনারা ওই ফসলটা পাবেন না। এজন্য পরিবেশকে ঠিক রেখে চাষাবাদ করার ওপর জোর দেন তিনি।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলার ৩০ জন কৃষক ও কৃষানি অংশ নেন। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসিরুল আলম এবং কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ কৃষক-কৃষানিদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন










