লালমনিরহাটে সকালের ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: হেমন্তের ছোঁয়ায় প্রকৃতি এখন শান্ত ও নীরব। নদী-নালা, খাল-বিলের পানিও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিনের বেলা তাপমাত্রা অনেকটাই কমছে। শীত আসতে আর বেশি দেরি নেই, এরই ইঙ্গিত দিচ্ছে সকালের কুয়াশা। গত তিনদিন ধরে লালমনিরহাটে ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে দেখা মিলছে মিষ্টি রোদের। সবুজ ঘাস আর আমন ধানের পাতায় বিন্দু বিন্দু শিশির কণা মনে করিয়ে দিচ্ছে শীত আসন্ন। হেমন্তকে স্বাগতম জানিয়ে শীত তার আগমনী বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিকে।
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের অবস্থান ভারতের হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় ও ঋতু বৈচিত্রের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পর থেকেই শীত অনুভ’ত হচ্ছে। সকাল ৭ টা পর্যন্ত দেখা মিলছে ঘন কুয়াশার। ঝড় বৃষ্টি আর খড়া শেষে বইছে হিমেল হাওয়া। ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন চারা গাছ। এসব ফসলের পাতায় পাতায় জমে থাকা শিশির ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা।
শীতের আগমনে চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন আগাম সবজি চাষে। প্রতিদিন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষকরা। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লাল শাক ও মুলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত তারা।
আরও পড়ুনকালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা এলাকার কৃষক রহমত আলী জানান, দুই-তিন সপ্তাহ আগেই বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউসহ বিভিন্ন শীতকালীন ফসল রোপণ করেছেন। এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় শীত দেখা যাচ্ছে। রাতে হালকা কাঁথা গায়ে দিতে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেখি চারদিকে ঘন কুয়াশা।
স্থানীয় কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের তাপমাত্রা ২২ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। এছাড়াও চলতি সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন ধরে কুয়াশা পড়ছে। এখনই কুয়াশা কমার কোনো লক্ষণ নেই, বরং দিন দিন তা আরও বাড়বে।
মন্তব্য করুন










