বিকেলে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি
মৌসুমী বৃষ্টি বলয় ‘প্রবাহ’ সক্রিয়, টানা গরমের পর বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার : আশ্বিন মাসে চৈত্র মাসের মত প্রচন্ড রোদ এবং ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল মানুষ। গরমের সাথে সাথে দর দর করে গা ঘেমে তা আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল। ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও যেন গরম থেকে রেহাই ছিল না। আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার পর আকাশজুড়ে মেঘের গর্জন ও ঝড়ো হাওয়ার পর বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি।
এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশজুড়ে আবারও সক্রিয় হয়েছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’। এর প্রভাবে বিকেলে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। একইসঙ্গে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ।
চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উৎসব। শহরের বিভিন্ন স্থানে বসেছে মেলা। হঠাৎ করে আসা বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়কে দেখা যায় অন্যরকম এক দৃশ্য। মেলার দোকানগুলোতে বৃষ্টি প্রতিরোধি ব্যবস্থা না থাকায় তারা তাদের পণ্যগুলো বৃষ্টির পানিতে ভেজা থেকে বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এসময় অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন গাছের তলায়। অনেকেই গরমে পর স্বস্তি পেতে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ও বাড়ির ছাদে ভিজে বৃষ্টি উপভোগ করছেন। হঠাৎ করে নামা ঝুম বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে পানি জমে যায় এবং তা অনেকক্ষণ ধরেই জলাবদ্ধতা তৈরি করে।
এদিকে আকাশে ক্ষণে ক্ষণে মেঘ জমা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের ব্যাপারে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, দেশজুড়ে আবারও সক্রিয় হয়েছে শক্তিশালী বৃষ্টি বলয় ‘প্রবাহ’। এরফলে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই বৃষ্টি বলয়টি আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে ২ থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুনএ সময় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে বৃষ্টির প্রভাবে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের নদ-নদীসমূহের পানি সমতল পর্যায়ে বাড়তে পারে। এ কারণে নদী নিকটবর্তী নিম্নাঞ্চল সাময়িক প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় নিম্ন অঞ্চলে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হওয়া এই বৃষ্টি কয়েক দিন থেমে থেমে কিছু কিছু এলাকায় হতে পারে । এতে করে তাপমাত্রা কমে দীর্ঘ দিনের প্রচণ্ড গরমের পর স্বস্তি আসবে জনজীবনে।
মন্তব্য করুন