ভিডিও বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। ছবি : দৈনিক করতোয়া

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের কৃষকরা। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, উন্নত জাতের ব্যবহার ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ অঞ্চলের কৃষকরা গরমকালেও উচ্চ ফলনশীল তরমুজ উৎপাদন করে ভালো লাভবান হচ্ছেন।

ভিয়াইল ইউনিয়নের তরমুজ চাষি রবিউল জানান, এবছর কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় তিনি ২০ শতক জমিতে রঙিলা সুগার কিং ও সুইট ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষ করেন। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় ক্ষেতেই প্রতি কেজি তরমুজ ৩০-৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ, বীজ ও মাচা তৈরিতে তার খরচ হয় ১৩ হাজার টাকা।

খরচ বাদে আড়াই মাসের এ আবাদে ২৫ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তার তরমুজ চাষ দেখে অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে তার কাছে পরামর্শ নিচ্ছেন। চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, জমিতে চাষ দিয়ে পরিমাণ মতো সার ও জৈব সার প্রয়োগ করি। এরপর নির্দিষ্ট দূরত্বে মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেই। পরে চারা রোপণ করি।

এর দুই-তিন দিন পর জমিতে সেচ দিই। বড় হওয়ার সাথে সাথে প্রতিটি গাছে খুঁটি এবং ১৫-২০ দিন পর মাচা তৈরি করে দিই। পোকামাকড়ের আক্রমণ খুবই কম। ফল বড় হওয়ার সময় জালি দিয়ে বেঁধে দিয়েছি, যেন গাছ থেকে ছিঁড়ে না পড়ে। গাছ লাগানোর ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে তরমুজ বিক্রির উপযোগী হয়। স্থানীয় কৃষক আব্দুল হাকিম জানান, প্রতি বিঘায় গড়ে ২৫/৩০ হাজার টাকা খরচ হলেও বিক্রি শেষে ৭০/৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে।

আরও পড়ুন

বাজারে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাহিদা বেশি থাকায় উৎপাদিত ফসল সহজেই বিক্রি হচ্ছে। ফলে ঐতিহ্যবাহী ধান চাষের পাশাপাশি তরমুজ এখন বিকল্প লাভজনক ফসল হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা শারমিন বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এ বছর ভিয়াইল ইউনিয়নের চারজন কৃষককে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সার, বীজ, ওষুধসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সহায়তা হিসেবে দেয়া হয়। সহায়তা পেয়ে তারা তরমুজ চাষ শুরু করেন। ফলন ও দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা বেশ লাভবান হয়েছেন।

অনেকেই এখন তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছি। পরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনা ও রপ্তানি সুযোগ সৃষ্টি হলে চিরিরবন্দরের গ্রীষ্মকালীন তরমুজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও সুনাম অর্জন করতে পারে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোহিঙ্গা সংকটের মূল উৎস মিয়ানমারে এবং সমাধানও সেখানে- ড. ইউনূস

বাংলাদেশিদের জন্য যেসব দেশের ভিসা সহজে মিলছে না

বুধবার সিলেট যাবেন এম এ মালেক

৮৫ সহকারী সচিবকে পিএসসিতে সংযুক্তি

বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল হাসপাতালে ভর্তি

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে জার্মান নাগরিকের কারাদণ্ড