চাঁদপুরে ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ইজিবাইক চালক ইব্রাহীম পাটোয়ারীকে (৪৮) হত্যার দায়ে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুইজনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ ইসলামবাদ গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির মো. নুরুল ইসলামের ছেলে আরিফ হোসেন এবং ইন্দুরিয়া ইসলামাবাদ গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ির শহীদুল ইসলামের ছেলে মো. সবুজ।
নিহত ইব্রাহীম পাটোয়ারী উপজেলার দক্ষিণ ইসলামাবাদ গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আবুল কাশেম পাটোয়ারীর ছেলে। ইব্রাহীম পাটোয়ারীর স্ত্রী নিলুফা বেগম ২০২০ সালের ১৩ মার্চ মতলব উত্তর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগমের মধ্যে পারিবারিক কলহের কারণে বিরোধ ছিল। যার ফলে তিনি নিকটাত্মীয়র বাড়িতে চলে যান। এরই মধ্যে ইব্রাহিম নিজের দুটি ইজিবাইক ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। ঘটনার সময় ২০২০ সালের ৯ মার্চ রাতে ইব্রাহীম তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য আত্মীয় বাড়িতে যান। ওই বাড়ি থেকে ইব্রাহীমকে ফোন করে ডেকে নেন আসামি ইব্রাহীম ও সবুজ। এরপর ১০ মার্চ রাতে অভিযুক্তরা ইব্রাহীমের সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ওই এলাকার জনৈক আব্দুল কাদিরের পুকুরে ফেলে যান। ১৩ মার্চ স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন পুকুরে মরদেহ ভেসে উঠেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ইব্রাহীমের স্ত্রী নিলুফা বেগম তার স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন।
আরও পড়ুনএ ঘটনায় নিলুফা বেগম ১৩ মার্চ মতলব উত্তর থানায় আরিফ ও সবুজকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ১৫ মার্চ আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কুহিনুর বেগম বলেন, মামলাটি পাঁচ বছরের অধিক সময় চলমান অবস্থায় আদালত ১৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করায় বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, মাসুম হোসেন ভুঁইয়া ও সেলিম মিয়া।
মন্তব্য করুন