বগুড়ার দুপচাঁচিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ জনবল সংকট : রোগীদের দূর্ভোগ

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি: দুপচাঁচিয়া উপজেলা সরকারি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের ফলে চিকিৎসা সেবা প্রদান ক্ষেত্রে চরম বিঘ্ন ঘটছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরের বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়ক সংলগ্ন দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন উত্তর পাশে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিগত কয়েক বছর অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী কাহালু, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি ও জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলার রোগীরা চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসকের ২০টি পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ১১জন। ২জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৯টি চিকিৎসকের পদ শূন্য।
এছাড়াও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসারে একটি পদ থাকলেও তাও শূন্য। ইউনানী মেডিকেল অফিসার পদ একটি সেটিও শূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির নার্সের ৩৭টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৩৫ জন। ২টি পদ শূন্য। তৃতীয় শ্রেণির মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারি ও সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ৩৮টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ২১জন আর শূন্য রয়েছে ১৭ জন।
এছাড়াও অন্যান্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মোট ৪৬টি পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১১ জন। ৩৫টি পদই শূন্য। অফিসের গুরুত্বপূর্ন দাপ্তরিক কাজে হিসাব রক্ষক, ষ্টোর কিপার, এ্যাকাউন্টেন্ট কাম প্রধান সহকারী, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মদ্রুাক্ষরিক, পরিসংখ্যানবিদ, ইপিআই টেকনিশিয়ান এর মত গুরুত্বপূর্ন পদগুলি শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কাজের চরম বিঘ্ন ঘটছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মেহেদি হাসান জানান, তিনি সম্প্রতি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। এ ক্ষেত্রে ২জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ৭ জন মেডিকেল অফিসার না থাকায় চিকিৎসা প্রদান ব্যহত হচ্ছে। প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের গুরুত্বপূর্ন অনেক পদ শূন্য।
ফলে দাপ্তরিক কাজের চরম বিঘ্ন ঘটছে। বর্তমানে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন চলছে। সেক্ষেত্রে ইপিআই টেকনিশিয়ান ও পরিসংখ্যানবিদ এর মত গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচি বিঘ্ন ঘটছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নতা কর্মী না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিষ্কার কার্যক্রমও ভেঙ্গে পড়েছে। সেখানে সেখানে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করেছেন।
মন্তব্য করুন