বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সাময়িক বরখাস্তের শেষ হলেও স্কুলে যেতে পারছেনা প্রধান শিক্ষক

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক এনামুল বারীর বরখাস্তের মেয়াদ শেষ হলেও তার স্কুলে ঢুকতে পারছেন না। তিনি জোড়গাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্কুলে যোগদানের বিরুদ্ধে বাধা প্রদান করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবলু শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক এনামুল বারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধান শিক্ষক এনামুল বারী একজন দুর্নীতিবাজ।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ তদন্ত করেন উপজেলা শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার, প্রাণিসম্পদ ও কৃষি অফিসার। পরবর্তীতে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষক এনামুল বারীকে সাময়িকভাবে বরখান্ত করা হয়। সরকারি বিধি ও পরিপত্র অনুয়ায়ী সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ ১৮০ দিন।
এরপর তদন্ত সত্য প্রমাণিত হলে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করার কথা। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এনামুল বারীর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ সত্য প্রমান করতে না পাড়ায় তা আর চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রধান শিক্ষক এনামুল বারী আবারও জোড়গাছা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করতে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। গত ১৬ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক এনামুল বারী এবং জেলা শিক্ষা অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে আবারও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে জেলা শিক্ষা অফিসার শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
আরও পড়ুনএবিষয়ে প্রধান শিক্ষক এনামুল বারী বলেন, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত বরখাস্ত করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবলু শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে হয়রানি করাচ্ছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে, আর এ কারণে শিক্ষার্থীরাও তার ওপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, আমি সরেজমিনে এসে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সাথে কথা বললাম এবং তাদের কথাগুলো শুনলাম। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন