সিরাজগঞ্জে খাঁচায় মাছ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেকেই

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জে খাঁচায় মাছ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যমুনা নদীসহ জেলার সকল অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়-ইছামতিসহ বিভিন্ন নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ হচ্ছে। এধরনের আড়াই হাজারের অধিক খাঁচায় মাছ চাষ করা হয়। লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় জনপ্রিয়তা বাড়ছে। খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রতিবছর বাড়ছে।
কারণ এই পদ্ধতিতে মাছের পোনা খাঁচায় ছাড়ার পর তা খাঁচার মধ্যেই থেকে যায়। খাঁচার বাইরে যাবার সুযোগ নেই। অধিক লাভ হওয়ায় এই পদ্ধতিতে মাছ চাষির সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে। এখন অনেক বেকার যুবক খাঁচায় মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের সাফল্যে আরও অনেক বেকার যুবক মৎস্য চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, এ ব্যাপারে তারা খাঁচায় মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করাসহ নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। এবছর জেলায় আড়াই হাজারের বেশি খাঁচায় মাছ চাষ হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খলিশাকুড়া গ্রামের শিক্ষকও বিশিষ্ট সমাজসেবী ওয়াজেদ আলী খলিশাকুড়া যমুনা নদঅর ২নং বাঁধের পাড়ে খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেছেন। তিনি জানান, ১৯টি খাঁচায় তিনি মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছের চাষ করেছেন। আর ২/৩ মাস পরেই খাঁচার মাছ তোলা হবে তিনি আশা করছেন যে ফলন হয়েছে তাতে ২ লাখ টাকা লাভ হবে। তিনি আরও বলেন, তার এই সাফল্যে এলাকার অনেক বেকার যুবক খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অনেকেই তার কাছে আসছে খাঁচায় মাছ চাষের জন্য পরামর্শ নিতে।
আরও পড়ুনপরামর্শ নিতে আশা শহিদুল ইসলাম জানান, ওয়াজেদ স্যার ২০২০ সাল থেকে খাঁচায় মাছ চাষ করছেন। আমি মাঝে মাঝে এখানে আসি তিনি কিভাবে এই মাছগুলোকে খাওয়ান এবং পরিচর্যা করেন বিষয়গুলো দেখি। এখন মাছগুলো বেশ বড় হয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই বিক্রি হবে। তার এই সাফল্যে আমাকে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমি কিছুদিনের মধ্যেই খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করবো।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, খাঁচায় নেটগুলো অনেক দামী। ছিড়বে না বা পচবে না। মাছের পোনা বেরিয়ে যাবার সুযোগ নেই। যে পরিমাণ পোনা ছাড়া হয় তার সব পোনাই খাঁচার মধ্যেই বড় হয়। মাছের খাবারের দামও বেশি। খাবর খাঁচায় নষ্ট হয় না। ৫বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে ১ম বছর খাঁচায় মাছ চাষ করে লাভ তেমন পাওয়া যায় না। ২য় বছর থেকে লাভের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ফলে খাঁচার মাছ চাষ বাড়ছে। যে কারণে জেলায় মাছের চাহিদা বহুলাংশে পূরণ হচ্ছে। তিনি বলেন, এব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট মাছ চাষিদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
মন্তব্য করুন