বগুড়ার নন্দীগ্রামে শারদীয় উৎসবের আমেজ ঘরে ঘরে নাড়ু-মোয়া ও মুড়কির আনন্দ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : একদিন পরই মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাড়ি বাড়ি সাজসজ্জার পাশাপাশি নাড়ু, মোয়া ও মুড়কি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সনাতনী গৃহবধূরা। একদিকে রান্নাঘরে উৎসবের পদ তৈরির কোলাহল, অন্যদিকে রঙ তুলিড় আঁচড়ে দেবি দূর্গাকে জিবন্ত করে তোলার চেষ্টা করছেন কারিগররা। মন্ডপগুলো সাজছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়। সর্বত্রই এখন উৎসবের আমেজ।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, আগামী রোববার ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুর্গোৎসব। আর আগামী বৃহস্পতিবার দেবী বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে শারদীয় এই মহোৎসব। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুকুমার চন্দ্র সরকার বলেন, এবার নন্দীগ্রামে ৪৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, তারা আমাদের সার্বিক নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন।
নন্দীগ্রাম কলেজপাড়ার গৃহবধূ রুম্পা রানী দাস জানান, দুর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতিবছরের মতো এবারও তারা নানা প্রকারের নাড়ু, মোয়া ও মুড়কি তৈরি করছেন। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমি তিলের নাড়ু, দুই ধরণের নারিকেলের নাড়ু, গঙ্গাজলী নাড়ু, মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া, চানাচুরের মোয়া, দুধের নাড়ু ও মুড়কি তৈরি করেছি।
আরও পড়ুননন্দীগ্রাম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মদন কুমার বলেন, দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক মিলনমেলারও নাম। এ উৎসব ঘিরে গ্রাম-শহরে সৃষ্টি হয় আনন্দের পরিবেশ। প্রতিমা তৈরির কারিগর মনোরঞ্জন মালাকার জানান, এবছর তিনি ৬টি প্রতিমা তৈরি করছেন। এখন চলছে রঙের কাজ। প্রতিটি প্রতিমার মজুরি নিয়েছেন ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফাইম উদ্দিন জানান, মন্ডপের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিটি মন্ডপে পুরুষ ও নারী পুলিশ সদস্য থাকবেন। পাশাপাশি তিন থেকে আটজন আনসার সদস্যও মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ টহল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে।
মন্তব্য করুন