খুলনার পৌনে ৪৩ লাখ শিশু পাবে টাইফয়েড টিকা

টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে খুলনা বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে 'টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কনসালটেশন ওয়ার্কশপ' অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এই ওয়ার্কশপটি অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্কশপে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের আওতায় খুলনা সিটি করপোরেশনসহ (কেসিসি) খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৭ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খুলনা বিভাগে এ পর্যন্ত অনলাইনে ১৩ লাখ ১০ হাজার ৬৯ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৩১ শতাংশ।
এ ছাড়া, খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৪ লাখ ৩১ হাজার একশ শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ পালিত হবে।
খুলনা বিভাগে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের (টিসিভি) আওতায় প্রথম দুই সপ্তাহ (১২-৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহ (১-১৩ নভেম্বর) কমিউনিটিতে নিয়মিত এবং স্থায়ী কেন্দ্রে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে। ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে একডোজ টিকা প্রদান করা হবে। এই টিকা পেতে জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্য (১৭ ডিজিট) দিয়ে www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে গণমাধ্যমকর্মীদের বড় ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে।
আরও পড়ুনতিনি আরও বলেন, টাইফয়েড টিকাদান বাস্তবায়নে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এবং এই চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরসহ সব দপ্তরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। টাইফয়েড টিকায় ভয়ের কোনো কারণ নেই। নির্দিষ্ট দিনে টিকা নিতে টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের আসতে উদ্বুদ্ধ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান মহাপরিচালক।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক, ইউএনবির প্রতিনিধি শেখ দিদারুল আলম, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান ও সিভিল সার্জন দপ্তরের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. ইব্রাহিম-আল-মামুন। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে টিকাদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. মো. আরিফুল ইসলাম।
ওয়ার্কশপে খুলনার স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন