আগামীকাল রাজধানীর বনানী’তে মোমেনা চৌধুরীর ‘গোধুলি বেলায়’

অভি মঈনুদ্দীন ঃ মোমেনা চৌধুরী বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের একজন অনবদ্য গুনী অভিনেত্রী। এক ‘লাল জমিন’ নাটকে এককভাবে অভিনয় করেই তিনি দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছেন দেশের আনাচে কানাচে এবং দেশের বাইরেও। একজন মোমেনা চৌধুরী এখন মঞ্চে যারা নিয়মিত অভিনয় করেন তাদের কাছে ভীষণ অনুপ্রেরণার। একজন মোমেনা চৌধুরীর দেখানো আলোর পথেরই যাত্রী হতে চান এই প্রজন্মের মঞ্চে নাটকের শিল্পীরা। কারণ মোমেনা চৌধুরী তার নিজেকে একজন জাত অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন বিশেষ কওে ‘লাল জমিন’ নাটকে।
তবে আবারো গুনী এই অভিনেত্রী এরইমধ্যে তার আরো একটি একক নাটক নিয়ে দর্শকের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। নাটকের নাম ‘গোধূলি বেলায়’। নাটকটি রচনা করেছেন মোমেনা চৌধুরী নিজেই। নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম সাগর। এটি ‘শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটার’- এর পঞ্চম প্রযোজনা।
শুক্রবার ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী’র ‘যাত্রা বিরতি’তে ( বাড়ি নং ৬৩, রোড ১৭/এ) মঞ্চস্থ হবে মোমেনা চৌধুরীর ‘গোধুলি বেলায়’ নাটকটি।
মোমেনা চৌধুরী বলেন,‘ জীবনের এই গোধুলি বেলায় এসে মানুষের আর কোনো চাওয়া পাওয়া থাকেনা। শুধুই একজন ভালো বন্ধুর প্রয়োজন হয়। যার সঙ্গে মন খুলে কথা বলা যায়, চোখে চোখ রেখে চায়ের কাপে চুমুক দেয়া যায়। যাইহোক, আমরা সাধারনত সবসময় মঞ্চ নাটক উপভোগ করি হয় রাজধানীর বেইলি রোডে কিংবা শিল্পকলায়। কিন্তু এবার শূন্যন গোধুলি বেলায় মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে বনানীর যাত্রা বিরতিতে। আশা করছি সবার সঙ্গে দেখা হবে। যথারীতি নাটকটির রচনায় এবং অভিনয়ে আছি আমি। আশা করছি বনানী ও তার আশেপাশে যারা আছেন তারা সবাই চলে আসবেন সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটের মধ্যে। আশা করছি আপনাদের ভালোলাগবে গোধুলি বেলায়।’
আরও পড়ুনগত জুনে নিউইয়র্কের জ্যামাইকা আর্টস সেন্টারে উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়েছিল নাটকটির। নিউইয়র্কের পর দেশের মঞ্চে আসছে নতুন এই নাটক গত ৮ আগস্ট রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় প্রদর্শিত হয়। এটি মোমেনা চৌধুরীর লেখা দ্বিতীয় মঞ্চনাটক।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ৫০তম বিবাহবার্ষিকীর দিন এক মা স্মৃতির জগতে ফিরে যান। ধরা পড়ে তার জীবনের চাপা কান্না, লাঞ্ছনা ও বঞ্চনার বেদনা। প্রেম, সংসার ও মাতৃত্বের আড়ালে থাকা এক নারীর নিঃশব্দ প্রতিবাদ ফুটে ওঠে পুরো নাটকে।
মোমেনা চৌধুরী বলেন, ‘নারীকে ঘিরে থাকা শরীর, সম্মান, স্বপ্ন ও অপমান এগুলোকে সামনে এনে এই নাটক আমাদের সামনে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। যদি এটি কাউকে তার নীরব প্রতিবাদের ভাষা দিতে পারে, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় সাফল্য।’
মন্তব্য করুন