বগুড়ার শেরপুরে শেরুয়া বটতলা থেকে ব্রাকবটতলা রাস্তাটি মরণ ফাঁদে পরিণত

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুরে শেরুয়া বটতলা থেকে ব্রাকবটতলা পর্যন্ত রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। উপজেলার শাহ-বন্দেগী, মির্জাপুর, ভবানীপুর ও বিশালপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্তত ৬টি স্থানে বড় বড় গর্ত আর ছোট ছোট অসংখ্য খানাখন্দে সড়কটি কার্যত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানি জমে এসব গর্তে তৈরি হয়েছে ফাঁদ, যা থেকে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন ব্যবসায়ী, নারী, শিশু, শিক্ষার্থী, রোগী ও অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। শুধু সাধারণ মানুষই নন, বিপাকে পড়েছেন আশপাশের প্রায় ২০ থেকে ২৫টি অটো রাইস মিল, চাতাল ও অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরাও। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ধান-চাল পরিবহনে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ট্রাক-অটোরিকশা গর্তে আটকে গিয়ে প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে।
শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের আন্দিকুমড়া গ্রামের অটোচালক বেলাল হোসেন জানান, রোজই ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী নিয়ে চলতে হয়। রাস্তার ভাঙাচোরা অবস্থা এমন একটু অসাবধান হলেই উল্টে যায় গাড়ি। শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ বলেন, ইজিবাইকে যাতায়াত করতেও ভয় লাগে, কাত হয়ে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। বৃষ্টির সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনএই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীরা জানায়, সময়মতো স্কুলে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। অনেক সময় জামা-কাপড় কাদা-পানিতে ভিজে যায়। শেরপুর থানা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলিমুল রেজা হিটলার বলেন, এই রাস্তায় গর্তের পর গর্ত। ফলে পরিবহনে সমস্যা তো হচ্ছেই, সঙ্গে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যাবসায়ীদের। দ্রুত এই রাস্তার সংস্কার না করতে পারলে ব্যাবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল, মামুন তালুকদার বলেন, এই সড়কে প্রতিটি মানুষকে কষ্ট করে চলতে হয়। ভাড়া দ্বিগুণ, দুর্ঘটনা প্রতিদিনের সঙ্গী। দ্রুত এই সড়ক মেরামতের দাবি জানাচ্ছি। শুধু সংস্কার নয় দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য মানসম্মতভাবে দ্রুত সড়কটি মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ বলেন, বর্ষার কারণে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। টেন্ডার হয়ে গেছে, ঠিকাদার বেশির ভাগ রাস্তার কাজ শেষ করেছেন কিন্ত শেষের দিকে এসে বৃষ্টির কারনে কাজ করতে পারছেনা, বৃষ্টি কমলেই কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন