ভিডিও রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন একদিনে ৫ বিঘা কৃষিজমি বিলীন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন একদিনে ৫ বিঘা কৃষিজমি বিলীন। ছবি : দৈনিক করতোয়া

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে একদিনে প্রায় ৫ বিঘা কৃষিজমি বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গন থেকে মাত্র ২০০ মিটার এলাকায় রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। যা এখন ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। এটি ভেঙে গেলে ৪ ইউনিয়নের লাখো মানুষ বন্যা কবলিত হবেন। নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তা।

সারিয়াকান্দির কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালি এবং ইছামারা গ্রামে আবারো যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। যেখানে গত ২ বছর আগেও প্রায় ৭০ টি বসতবাড়ি কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে নদী ভাঙন রোধে কাজ করা হয়, ফলে ভাঙন কবলিত এলাকায় নদী ভাঙন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই এর উজানে গোদাখালি গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

সেখানে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ভাঙন। এখানে কৃষকদের ৩ ফসলি কৃষিজমি যমুনায় বিলীন হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরেই। যেখানে ধান, পাট মরিচসহ নানা ধরনের ফসল চাষ হয়। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই প্রায় ৫ বিঘা কৃষিজমি যমুনায় বিলীন হয়েছে। যমুনা নদীর যেখানে মূল ভাঙন রয়েছে সেখান থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার।

এলাকাবাসীর মতে, এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ যেকোনও সময়ে ভেঙে গিয়ে লোকালয়ে যমুনার মূল স্রোত প্রবাহিত হবে। যা বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলাকে প্লাবিত করবে। ফলে উপজেলার কামালপুর,  ভেলাবাড়ী,  চন্দনবাইশা এবং কুতুবপুর ইউনিয়নের লাখো এলাকাবাসী বন্যা কবলিত হবে। এছাড়া এসব ইউনিয়নের কৃষকদের সদ্য বেড়ে ওঠা আমন ধান পানিতে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই দ্রুত ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি কাজ চায় এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন

ভাঙন হুমকিতে থাকা মৃত মইর প্রামানিকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৭০) জানান, গত বৃহস্পতিবার যেভাবে যমুনা নদীতে ভাঙন হয়েছে, এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে আমাদের বাঁধের বাড়িঘরও ভেঙে যাবে। এই শেষ সম্বলটুকু ভেঙে গেলে আমরা কোথায় গিয়ে থাকবো? আমরা সরকারের কাছে দ্রুত যমুনা নদীর কাজ চাই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (নকশা) মাহফুজুর রহমান বলেন, যমুনা নদী ভাঙন রোধে ভাঙন কবলিত এলাকায় স্থায়ী কাজ করতে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা করা হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবনার ভিত্তিতে স্টাডি চলছে। স্টাডির আলোকে প্রকল্প নকশা প্রনয়নের জন্য বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি।

পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে  বগুড়া সারিয়াকান্দি এবং ধুনট উপজেলাকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করতে একটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে বগুড়াবাসী রক্ষা পাবে। তবে ভাঙন কবলিত এলাকায় ইমার্জেন্সি কাজ চালু করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক শর্ত পূরণ করেই রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে শুরু হবে উৎপাদন

রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি মাদ্রাসার পরিত্যক্ত ভবনে চলছে ক্লাস

বগুড়ার কাহালুতে ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে শতাধিক পরিবার