ভিডিও বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ফরিদপুরে শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষ, বন্ধ বাস চলাচল

ফরিদপুরে শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষ, বন্ধ বাস চলাচল

ফরিদপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১ শ্রমিক আহত হয়েছেন। এতে দুপুর থেকে বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা রুটের সব বাস চলাচল। 

আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে শহরের পৌর বাসস্ট্যান্ড ও সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ সংঘর্ষ ঘটে।

জানা যায়, ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন (১০৫৫)-এর নির্বাচনকে অবৈধ দাবি করে ‘সকল শ্রমিকের ব্যানারে’ মানববন্ধন আয়োজন করে একটি পক্ষ। বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া মানববন্ধনে হামলা চালায় নির্বাচিত দাবি করা সভাপতি ইয়াছিন মোল্লার নেতৃত্বে একদল লোক। লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়াদের ওপর তারা চড়াও হয়। এতে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

হামলার সময় ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়, এবং শ্রমিকদের এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। হামলাকারীদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ ঘটনার পর দুপুর ১২টার দিকে উত্তেজিত শ্রমিকরা সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন। পরে দুপুর ২টার দিকে ফের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় বাসস্ট্যান্ড এলাকা। এ সময় আহত হন অন্ততপক্ষে ১১ জন শ্রমিক। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
জানা যায়, শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে  বিরোধ চলে আসছিল।  এক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন বর্তমান সভাপতি (বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত) ইয়াছিন মোল্লা ও অপর গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ করেন সাবেক সহ-সভাপতি  ইসমাইল হোসেন।

সাধারণ শ্রমিক ও সংগঠনটির সাবেক একাধিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইউনিয়নের প্রায় ৭ হাজার ২০০ সদস্যের মধ্যে মাত্র এক হাজার দুইজন সদস্যকে দেখিয়ে ২৫ জুলাই নির্বাচন আহ্বান করা হয়। তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় গত ১৭ জুলাই সবাইকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন

ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের কোনো তফসিল প্রকাশ করা হয়নি, ভোটার তালিকা টানানো হয়নি। সাধারণ শ্রমিকদের অন্ধকারে রেখে অবৈধভাবে নির্বাচন দেখিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাস চলবে না।

অপরদিকে ইয়াছিন মোল্লা মানববন্ধনকারীদের আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে বলেন, আমরা নিয়মমাফিক নির্বাচন করেছি। যারা মানববন্ধন করেছে, তারা আওয়ামী লীগের দোসর, এখনো চাঁদাবাজি করছে। আমরা সাধারণ শ্রমিকরা প্রতিবাদ করেছি।

এদিকে শ্রমিকদের দ্বন্ধে বাস চলাচল বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। এ সময় অনেক যাত্রীকে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের উত্তেজনা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।  দ্রুত বাস চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের প্রশ্নে সবাই একমত: আইন উপদেষ্টা

হাসপাতালে আহতদের দেখতে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান

বগুড়ার শাজাহানপুরে বহিরাগতদের মারপিটে গোহাইল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহত

সিরাজগঞ্জে ৫০০ বছরের পুরানো জয়সাগর’ দিঘীটি ঐতিহ্য হারাচ্ছে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে হ্যাকার চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

বগুড়ায় তিন বছরে মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন