বগুড়ার আদমদীঘিতে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিরা এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘিতে মতিউর রহমান নামের এক আদম ব্যবসায়ীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টা মামলার মূল আসামি সজিব হোসেনসহ (২৫) অজ্ঞাতনামা আসামিরা দীর্ঘ এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি। ফলে মামলার কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় বাদি সুষ্ঠু বিচার পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বর্তমানে মামলাটি তুলে নিতে আসামি পক্ষের লোকজন মামলার বাদি মতিউর রহমানকে হুমকি দিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হবিবর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান অন্য ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠানোর কাজ করেন। এরই মধ্যে তিনি বেশকিছু দেশে লোক পাঠিয়েছেন।
সম্প্রতি আদমদীঘি উপজেলার তালশন গ্রামের হেলাল হোসেনের ছেলে সজিব হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠানোর পর বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরি হওয়ায় বিষয়টি তার বাবাকে জানান। এবিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মতিউর রহমানকে নানা হুমকি দেন। গত ১৮ মে ঘটনার দিন মতিউর রহমান বগুড়া মাটিডালি তার মেয়ে মনিকার বাড়ি থেকে দুপুরে বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে এসে সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা ট্রেনে উঠে বাড়ি জন্য রওয়ানা দেন।
ওই ট্রেনের বগিতে থাকা আদমদীঘি সদরের ডহরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুমনের নেতৃত্বে মাস্ক পরিহিত ৬/৭ জন ব্যক্তি মতিউর রহমানের পিছু নেন। আলতাফনগর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি থামার পর যাত্রী নেমে গেলে ওই ব্যক্তিরা মতিউর রহমানকে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে বগিতেই মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুনএরপর ট্রেনটি নসরতপুর স্টেশনের প্লাটফরমে পৌঁছলে ওই ব্যক্তিরা মতিউর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেন। কিন্ত অলৌকিকভাবে মতিউর রহমান আহত হলেও বেঁচে যান। সেই ভিডিওটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় মতিউর রহমান নিজেই বাদি হয়ে ঘটনার একদিন পর আদমদীঘি সদরের ডহরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সজিব হোসেনের (২৫) নাম উল্লেখসহ আরো আজ্ঞাত ৬/৭ জনের নামে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন