নাফ নদী থেকে প্রায় আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

মিয়ানমার থেকে নাফ নদী পথে বাংলাদেশে মাদক পাচারের সময় ২ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় তিন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি।
আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে টেকনাফ সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে টেকনাফ-২ বিজিবির সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে মিয়ানমার থেকে একটি বড় ইয়াবার চালান নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এরপর সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয় এবং বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে টহল দল মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুনরোববার রাত ১২টার দিকে টেকনাফের জালিয়ার দ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপের মধ্যবর্তী জলসীমায় তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সাঁতরে আসতে দেখে বিজিবির টহল দল অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় মাদক কারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে সাথে থাকা বস্তাগুলো নদীতে ফেলে দ্রুত মিয়ানমারের দিকে সাঁতরে পালিয়ে যায়।
পরে বিজিবির সদস্যরা নদীতে ভাসমান বস্তাগুলো উদ্ধার করে তল্লাশি চালিয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
অধিনায়ক আরও জানান, এ ঘটনায় টেকনাফ মডেল থানায় তিন পলাতক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা হলেন- টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে বাদশা, দমদমিয়ার নুর আলমের ছেলে মোহাম্মদ আয়াজ (রুবেল) এবং ইসমাইলের ছেলে জসিম উদ্দিন।
মন্তব্য করুন