পাবনার চাটমোহরে নিজেদের অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ করছেন গ্রামবাসী

পাবনা ও চাটমোহর প্রতিনিধি : বিলে চাষাবাদ ও সেখান থেকে ফসল বাড়িতে নেওয়ার একটি মাত্র রাস্তা। বছরের পর বছর সে কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টিতে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। ভোগান্তির শেষ থাকে না কৃষকদের। একটি সাবমারসিবল সড়ক নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে ধর্না দিয়েও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে ইট বালি ফেলে রাস্তা নির্মাণ করলেন গ্রামবাসী।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌরনগর-বিন্যাবাড়ি গ্রাম সংলগ্ন মাদারি ফকিরের বাড়ি থেকে ছয় আনির বিল অভিমুখে রাস্তাটি গত শনিবার থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে কাঁচা রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিলে চাষাবাদে যাতায়াত ও ফসল আনা-নেয়ার জন্য এটি একমাত্র রাস্তা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে রাস্তাটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। বৃষ্টি হলেও কাদা পানিতে চলাচল দায় হয়ে যায়। গরু-মহিষের গাড়ি ফসল নিয়ে বিল থেকে আসতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই নিজেদের প্রয়োজনে ইট-বালি ফেলে রাস্তাটি নির্মাণ করেছে গ্রামবাসী।
নিমাইচড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাদুল হক বলেন, ছয় আনির বিলে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চাষাবাদ করেন। এই ফসলই এখানকার মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস। কিন্তু বিলে যাতায়াতে কৃষকের ভোগান্তির শেষ নেই।
আরও পড়ুনগাড়ি যাতায়াত করতে পারে না। অনেকে আহত হয়েছে। রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে আমরা স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করেও কাজ হয়নি। তাই আমরা গ্রামবাসী নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করছি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘এলাকাবাসীর প্রচেষ্টা বা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আমি রাস্তাটি সরেজমিন গিয়ে দেখবো। সেখানে একটি সাবমারসিবল সড়ক করতে কেমন কি লাগবে সেটি যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
মন্তব্য করুন