নওগাঁর রাণীনগরে পাখি পল্লীর পাখি উধাও

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলের দক্ষিণ অংশে রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের পাশে হাতিরপুল নামক স্থানে পাখি পল্লীর অবস্থান। গত ৩ মাস আগে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র ও পাখি পল্লী সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করায় দর্শনার্থীদের উপচে পরা ভিড়ে পাখি পল্লীর পাখি আর চোখে পরে না।
আগত দর্শনার্থীরা পাখিদের বিভিন্ন কায়দায় বিরক্ত করার কারণে গাছের ডালে ডালে ঝুলন্ত কলসগুলো এখন ভেঙে পরে যাচ্ছে। পাখি বিহীন পল্লী এখন খাঁ-খাঁ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের অবাধ চলাচলের কারণে খালের দুই ধারের গাছগুলোতে পাখি বসতে আর দেখা যায় না। তাই পাখিদের নিরাপদ রাখতে সচেতন মহলের দাবি এই এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হোক।
উপজেলার ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতার এক অনন্য নিদর্শন রক্তদহ বিল। প্রায় ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই বিলের বেশিরভাগ অংশ নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলায়। আর বাকি অংশ বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায়। এই বিলে প্রায় ৪ মাস পানি থাকে। এই বিলে প্রকৃতির ভান্ডারে ভরা। বিশেষ করে নানা জাতের দেশি প্রজাতির মাছের সু-খ্যাতি এখনো দেশজুড়ে।
আরও পড়ুনমৎস্য সম্পদের নিরাপদ প্রজনন ও স্বাভাবিক বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ এলাকা জুড়ে মৎস্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে। এই বিলকে ঘিরে রাণীনগরে পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নির্দেশনা এবং উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ তত্ত্ব¡াবধানে রক্তদহ বিলকে ঘিরে পাখি কলোনী, মৎস্য অভয়াশ্রম ও পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো: জাহাঙ্গীর কবির জানান, পাখির জন্য বাসা তৈরি করে দেওয়া বা গাছে গাছে কলস বেঁধে দেওয়া এটা বিজ্ঞান সম্মত নয়। বরং পাখি দ্বারা নির্মাণকৃত বাসা কেউ নষ্ট করতে পারে না এবং পাখিদের স্বভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় এমন কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকার জন্য নজর রাখা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। তাহলেই পাখিরা নিরাপদ আবাসস্থলে বসবাস করে প্রজনন বৃদ্ধি করতে পারবে।
মন্তব্য করুন