ভিডিও শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

দামের পার্থক্যের কারণে

বগুড়ার শেরপুরে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে চলেছে

বগুড়ার শেরপুরে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে চলেছে। ছবি : দৈনিক করতোয়া

শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুরে হাট বাজারের দামের সাথে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামের পার্থক্য থাকায় ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে চলেছে। শেরপুরের বেশিরভাগ মিলাররা সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেও অনেক মিলারই এখনো চুক্তির বাইরে রয়েছেন।

যারা চাল দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারাও সরকারি গুদামে চাল দিতে অনিহা প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে কৃষকরা এক কেজি ধানও বেচার জন্য গুদামে আসেননি। তাদের মধ্যেও কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর শেরপুর উপজেলার ১৯৮টি চাল কলের বিপরীতে ৮ হাজার ৭৫৫ মেট্রিকটন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫৪টি চালকল ৪ হাজার ৯২১ মেট্রিকটন চাল সরকারকে দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

এ বছর চুক্তির বাইরে রয়েছে ৪৪টি চাল কল ও ২টি অটোরাইস মিল, যাদের বিপরীতে ৩হাজার ৮৩৪ মেট্রিকটন চাল চুক্তির বাইরেই রয়েছে। ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫৪২ মেট্রিকটন। সরকারিভাবে চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা কেজি ও ধানের দাম ৩৩ টাকা কেজি।

যদি স্বভাবিকভাবে চুক্তিবদ্ধ সকল মিল মালিকগন চাল সরবরাহ করেন তারপরেও সংগ্রহ অভিযান পুরোপুরি সফল হবে না। তবে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে মিলাররা চাল সরবরাহ করতে অনিহা প্রকাশ করছেন। তাদের দাবি সরকার বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দাম নির্ধারণ করেনি। ফলে প্রতিকেজি চালে মিলারদের লোকসান দিতে হবে ৫ থেকে ৬ টাকা।

আরও পড়ুন

সরেজমিনে শেরপুর বারোদুয়ারি হাটে গিয়ে দেখা যায়, (৩৮ কেজিতে মণ) বর্তমানে স্বর্না-৫, বিআর ৫১ প্রতিমণ ১৪শ ৫০টাকা, বিআর ৪৯ প্রতিমাণ ১৫শ ৫০টাকা থেকে ১৬শ টাকা, কাটারি ১৮শ ৫০ টাকা থেকে ১৯শ টাকা, মোটা ধান জাত ভেদে ১৩শ থেকে ১৩৫০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। সরকারি গুদামে দিতে হলে এই ধান উপযোগি করতে প্রতি কেজিতে আরো ৩ টাকার বেশি খরচ হবে।

শেরপুর থানা চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলিমুল ইসলাম হিটলার বলেন, কেজিতে ২/১ টাকা লোকসান হলেও মিলের লাইসেন্স রক্ষার জন্য আমরা সরকারকে চাল দিতাম কিন্ত এখন যে হারে লোকসান হচ্ছে তাতে কোন অবস্থাতেই এই লোকসান কভার করা সম্ভব হবেনা।

শেরপুর ধুনট মোড় এলএসডি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, শেরপুরের দুই গুদাম মিলে এখন পর্যন্ত মাত্র ৯২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে, এখনো কোন ধান কিনতে পারিনি।

শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুন-এ-কাইয়ুম বলেন, বর্তমান বাজারদরের সাথে সরকার নির্ধারিত বাজারের তারতম্য থাকায় মিলার ও কৃষকরা ধান চাল দিতে চাচ্ছে না। বর্তমান অবস্থা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল বরিশালের আমড়া

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার

নেত্রকোনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামল পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়

শ্রমিকদলের আয়োজিত সমাবেশে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অংশগ্রহণ