আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের জন্য জামায়াত সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত : বগুড়ায় উলামা সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম খান

স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশের সকল ইসলাম পন্থীরাজনৈতিক দল ও পীর-মাশায়েখদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার চেষ্টা চলছে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ইসলাম পন্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে জামায়াত পূর্বের ঘোষিত যে কোন আসনের প্রার্থী সরিয়ে নিবে। তিনি আজ শনিবার (৫জুলাই) দুপুরে বগুড়া শহরের ঐতিহাসিক শহীদ টিট মিলনায়তনে বগুড়া জেলা ও মহানগর উলামা-মাশায়েখ পরিষদ আয়োজিত উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
উলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়া মহা নগর শাখার সভাপতি আলহাজ¦ মাওলানা আলমগীর হুসাইনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ শায়েখ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদ, কেন্দ্রিয় উলামা বিভাগের সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের টীম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার, বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল, জামিল মাদরাসার মুঈনে মুহতামিম মুফতি মাওলানা আতাউল্লাহ নিজামী, কারবালা মাদরাসার শাইখুল হাদিস মাওলানা কাজী ফজলুল করিম রাজু, ইসলামী আন্দোলন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আ.ন.ম মামুনুর রশীদ, ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন, খেলাফত মজলিশের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মামুন রহমানী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বগুড়া জেলা উলামা মাশায়েখ পরিষদের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাসেত ও মহানগর সেক্রেটারি ড. আবু সালেহ মামুন। উলামা সম্মেলনে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর একটি দল নিজেদেরকে দেশের অঘোষিত মালিক মনে করছে। তারা অপরাধীদের থানা থেকে জোর করে ছাড়িয়ে নিচ্ছে। দেশব্যাপী চাঁদাবাজীর মহোৎসব চলছে। অনেক এলাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি দলের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রদর্শন করছেন।
আরও পড়ুনএসব দলকানা কর্মকর্তাদের অপসারন করে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের সেইসব পদে বসাতে হবে। প্রশাসন নিরপেক্ষ নাহলে দেশে কোন ভাবেই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভবনয়। সবার নিকট গ্রহণ যোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িংফিল্ড তৈরি করতে হবে।
সরকারকে নিরপেক্ষ তার প্রমান দিতে বে। জাতীয় নির্বাচনের আগে অবশ্যই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সংষ্কার ছাড়া যেনে তেনভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসানোর অপচেষ্টা হলে দেশের আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ ভাবেতা রুখে দাঁড়াবে।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা সকল ঘারানার আলেম-উলামাঐক্যবদ্ধ হবেন। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছরেও আলেম সমাজ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। জুলাই বিপ্লবের পর সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে বর্তমানে আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ।
বৃহত্তর ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এরশীর্ষ নেতৃবৃন্দ ইতোম্যেই নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ভেতরে ভেতরে সকল ইসলামী দল ও পীর-মাশায়েখ গণঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের সকল ইসলাম পন্থীদের ভোটের বাক্স হবে একটাই। সম্মেলনে ১০ দফা প্রস্তাবনা অনুমোদন করা হয়।
মন্তব্য করুন