টাকার বিনিময়ে চোরদের ছেড়ে দিলেন ছাত্রলীগ নেতাসহ নৈশ প্রহরীরা

মাদারীপুরের কালকিনিতে টাকার বিনিময়ে একটি চোরচক্রের সদস্যদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা ও নৈশ প্রহরীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হলে শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ সব অভিযুক্তদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ও সচেতন মহল।
এলাকা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাহেবরামপুর বাজারের দোকানে চুরি, ডাকাতিসহ সব ধরনের অপকর্ম থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদ মীর, মিলন, শফিক, শাহিন, স্বাধীন, নাজমুল ও মোয়াজ্জেমসহ আটজনের একটি নৈশ্য প্রহরীর টিম গঠন করে দেন ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু গত সোমবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত প্রায় তিনটার দিকে ওই বাজারে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে একটি চোরচক্রের সদ্যরা উপস্থিত হন। পরে তাদের আটক করে ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদ মীর ও মিলনসহ নৈশ্য প্রহরীরা মিলে তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইলের মাধ্যমে নগদ নাম্বারে ২০ হাজার টাকা রেখে ওই চক্রের সদস্যদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে ওই রাতে সাহেবরামপুর এলাকার দুলাল হাওলাদারের একটি ভ্যান চুরি হয়ে যায়। অপরদিকে এই ঘটনা জানাজানি হলে ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ সব অভিযুক্তদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ও সচেতন মহল।
অভিযুক্ত মিলন বলেন, আমার মোবাইলের নগদ নাম্বারে আটককৃতরা ২০ হাজার টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। আমরা ওই টাকা ভাগ করে নিয়েছি। তবে আমরা যা করেছি তা রাসেদের নেতৃত্বে করেছি।
ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদ মীর বলেন, ‘আমাদের চা-নাস্তা খেতে আটককৃতরা টাকা দিয়েছে।’
আরও পড়ুননাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বাজারে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসেন একদল ডাকাত। তাদের আটক করে টাকা খেয়ে ছেড়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেদ মীর ও নৈশ্য প্রহরীরা। আমরা তাদের বিচার চাই।
বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহিম মুরাদ সরদার বলেন, বাজারে বসে রাতে চোর-বা ডাকাত আটক করে টাকা খেয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে রাসেদ আমার কাছে শিকার করেছে। আমরা এই বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার এসআই রবিউল বলেন, এই বিষয়টি আমাকে মুরাদ চেয়ারম্যান জানিয়েছে। তবে এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন