ভিডিও সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:৫৭ বিকাল

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রেকর্ড পরিমাণ মাছ রপ্তানি

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রেকর্ড পরিমাণ মাছ রপ্তানি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রেকর্ড পরিমাণ মাছ রপ্তানি হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনভর মোট ২৭টি ট্রাকে অন্তত সোয়া তিন কোটি টাকার মাছ ভারতে গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন কারণে রপ্তানি বন্ধ থাকবে বিধায় ভারতে বেশি মাছ রপ্তানি হয়েছে।

শুধু ত্রিপুরা রাজ্য নয়, ভারতের সেভেন সিস্টার্স (উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্য) হিসেবে খ্যাত সব কয়টি অঞ্চলেই বাংলাদেশের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

বাংলাদেশের মাছ মানেই ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল রাজ্যের মানুষের কাছে অন্যতম চাহিদার পণ্য। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ওইসব রাজ্যে প্রতিনিয়তই মাছ রপ্তানি হয়। মূলত ত্রিপুরায় রপ্তানি হলেও সেখান থেকে বাকি ছয় রাজ্যে সেখানকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের মাছ পাঠিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের মাছ যাওয়া-না যাওয়ার ওপর নির্ভর করে সেখানকার মাছের দামও।

আখাউড়া স্থলবন্দর মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফারুক বলেন, ‘দিন দিন ভারতের উত্তর-পূর্বের বাংলাদেশের মাছের চাহিদা বেড়ে চলছে। ওপারের বাজার বাংলাদেশের মাছের ওপর নির্ভর। শুধু ত্রিপুরা নয়, ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশের মাছ যায়। আজ সোমবার তিন কোটি টাকার বেশি মাছ গেছে, যা রেকর্ড বলতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে এত মাছ যায়নি।’

আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নেসার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ত্রিপুরাসহ ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারছে।

আরও পড়ুন

তিনি জানান, সোমবার চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৭টি ট্রাকে করে এক লাখ পাঁচ হাজার ৮৪৬ কেজি মাছ ভারতে গেছে, যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় তিন কোটি ২২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মাছ আড়াই ডলার করে ভারতে যায়।

শনিবার সেকেন্ড সেটার ডে, রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি, মঙ্গলবার বিজয় দিবস উপলক্ষে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে বিধায় একদিনে এত বেশি মাছ ভারতে গেল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গড় হিসেবে প্রতিদিন এখন প্রায় কোটি টাকার বেশি মাছ রপ্তানি হয়। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, টেংরা, পাবদা, মেনি ইত্যাদি। এর মধ্যে পাঙ্গাশ মাছ যায় সবচেয়ে বেশি, যা ওই সাত অঞ্চলের পাহাড়ি মানুষদের কাছে খুব প্রিয় মাছ। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের পাশাপাশি একাধিক জেলা থেকে আসা মাছ হিমায়িত করে ভারতে রপ্তানি হয়।

ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ মূলত স্থল ও পাহাড়বেষ্টিত। রাজ্যগুলো ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। সমুদ্র কিংবা বড় কোনো নদী না থাকায় স্থানীয় মাছও খুব একটা নেই। স্বাদে ভালো, সহজলভ্য ও তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশি মাছের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে, যা দুই পক্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও মেলেনি জহুরার বীরাঙ্গনার সরকারি স্বীকৃতি

বিজয়ের মাসে দেশের গান নিয়ে ব্যস্ত ইয়াসমিন লাবণ্য

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রেকর্ড পরিমাণ মাছ রপ্তানি

‘ড্রাইভিং সিটে বউ শ্বাশুড়ি’তে ডলি জহুর ও দীপা

হয়তো জানতেও পারবো না, মা কবে মারা গেছেন: সু চির ছেলে কিম

আমাদের এমন একজন প্রয়োজন যিনি রাস্তা চেনেন এবং সেই রাস্তায় নিয়ে যাবেন : ববিপ্রবি ভিসি ড. কুদরত-ই-জাহান