পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে কমলা চাষে নতুন সম্ভাবনা বাজারে বেড়েছে ক্রেতাদের আগ্রহ
দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা সুতপাড়া গ্রামে কমলা চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমান। নিজ ও পার্শ্ববর্তী গ্রামে পৈতৃক ১শ’ শতাংশ জমিতে তার বাগানে রয়েছে চারশতাধিক কমলা গাছ।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের তেরপুপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ‘আবরার অরেঞ্জ গার্ডেনে’ গিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। স্বল্প দাম, নিজ হাতে গাছ থেকে সতেজ কমলা সংগ্রহ ও ছবি তোলার আকর্ষণেই তাদের এমন উচ্ছ্বাস। প্রতিদিনই মানুষজন এসে গাছ থেকে সতেজ কমলা তুলে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
বাগানের তত্ত্বাবধায়ক দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আমি নিয়মিত বাগানের যত্ন নেই। নভেম্বরের শেষ দিকে কমলা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, এখন চলছে ২শ’ থেকে ২২০ টাকা। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে- এটা দেখে ভালোই লাগে।’
বাগান মালিক ও পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। কৃষি শিক্ষা বই থেকেই কমলা চাষের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ২০ শতক জমিতে কমলা গাছের চারা রোপণ করি।
আরও পড়ুনফলন ভালো হওয়ায় পরে সহোদরদের নিয়ে প্রায় ১শ’ শতক জমিতে চাষ শুরু করি। আমার বাগানের কমলার জাতটি চায়না ও দেশির মিশ্রণ। এ অঞ্চলের বেলে-দোআঁশ মাটি ও আবহাওয়া দার্জিলিং-হিমালয়ের সাথে কিছুটা মিল থাকায় কমলা চাষ এখানে ভালোই হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ বলেন, ‘এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। সঠিক পরিচর্যা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলে এখানকার চাষিরা আরও উন্নত ফলন পাবেন এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে পারবেন।
আমরা চাই কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে যুক্ত হোক, যাতে তাদের উৎপাদন ও আয় বৃৃদ্ধি পায়। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে উপজেলা কৃষি বিভাগ সর্বদা প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন








